ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 11 February 2025 07:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে আমেরিকা। প্রথম দফায় ১০৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরও ৪৮৭ জনকে ফেরত পাঠানো হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে শুধু কি আমেরিকা থেকেই ভারতীয়রা বিতাড়িত হবেন নাকি অন্যান্য দেশ থেকেও তাঁদের দেশে ফেরানো হবে সে প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ আমেরিকার পর ব্রিটেনও সে দেশে অবৈধভাবে থাকা ভারতীয়দের খোঁজ করতে শুরু করেছে।
একদম যেন আমেরিকার স্টাইল নিয়েছে ব্রিটেন! বিগত কয়েক দিন ধরেই দেশের নানা প্রান্তের রেস্তোরাঁ, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প, গাড়ি সাফ করার দোকান, সব জায়গায় ঢুঁ মারছে পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা। কারা কারা অবৈধভাবে সে দেশে বসবাস করছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উত্তর ইংল্যান্ডের হামবারসাইডের একটি রেস্তোরাঁ থেকে সাতজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসেই দেশজুড়ে ৮০০-র বেশি জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন। এক মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৬০০ জনকে। তাঁদের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, অভিবাসন আইন সকলকে মেনে চলতে হবে। অবৈধভাবে বসবাসকারী কারও সন্ধার পাওয়া গেলে তাদের আটক করা হবে। এদিকে আন্তর্জাতিক এক সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে ব্রিটেনে এই ইস্যুতে গ্রেফতারির সংখ্যা ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমেরিকা ফেরত ভারতীয়দের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গেছে, ভারতীয়দের পা-হাত বাঁধা, কোমরে দড়ি দেওয়া অবস্থায় বিমানে তোলা হচ্ছে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফেই এমন ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তা নিয়েই হইচই। অনেক আমেরিকা-ফেরত ভারতীয়রা বলেছেন তাঁদের বাক্সের মতো বিমানে ধাক্কা মেরে ঢোকানো হয়েছে। এইসব নিয়ে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া, মার্কিন প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এমন অভিযোগ এলে তাঁরা উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ জানাবেন। এখন ব্রিটেনে একই রকমভাবে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্য়ে চাপ বেড়েছে।
সম্প্রতি সংসদে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অবশ্য জানিয়েছেন, আমেরিকার বহিষ্কারের প্রক্রিয়া নতুন কিছু নয়, এটি বহু বছর ধরেই চলে আসছে। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সর্বাধিক ভারতীয়কে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়, সংখ্যাটা ২ হাজার ৪২। ২০২০ সালে ফেরত পাঠানো হয় ১ হাজার ৮৮৯ জন ভারতীয়কে। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৩৬৮।