ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শেষ আপডেট: 10 May 2025 08:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছনোর পরই তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও (Marco Rubio) বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। দু’দেশের মধ্যে ‘অবিলম্বে উত্তেজনা কমানোর’ প্রয়োজনীয়তার কথাও জোর দিয়ে বলেছিলেন রুবিও।
এবার এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) হয়ে হোয়াইট হাউসের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট। দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুসম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রেস বিবৃতিতে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, "ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, দ্রুত এই সমস্যার নিষ্পত্তি হোক।" অর্থাৎ ভারত-পাক সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে চাইছে আমেরিকা।
সাউথ ব্লক সূত্রে বলা হচ্ছে, এর আগে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকবে এবং ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্রুত ও সরাসরি আলোচনা হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। প্রত্যুত্তরে ভারতের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, যে ভারত কোনও হামলা করেনি।
গত ২২ এপ্রিল যেভাবে কাশ্মীরে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, তারই জবাবে গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে বেছে বেছে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান মুখে বলছে জঙ্গিদের মদত দেয় না, অথচ বাস্তবে করছে উল্টো টা। ফলে ভারত বাধ্য হচ্ছে জবাব দিতে। অর্থাৎ দায়িত্বশীলতা পরিচয় দিচ্ছে ভারত।
কিন্তু বেইজ্জতির মুখে ইসলামাবাদ যে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা স্পষ্ট। হয়তো পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতির চাপও এর একটা কারণ। তাই দেখা গেছে, আমেরিকা মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসতে চাইলেও শুক্রবার রাতেও পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের একাধিক শহর লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করা হয়। এমনকী পাকিস্তানের ছোড়া বোমার ঘায়ে রজৌরিতে এক সরকারি অফিসার-সহ তিনজনের মৃ্ত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
ক্রমবর্ধমান এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আমেরিকার হস্তক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক গুরুত্ব বহন করছে। শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে কি না, এখন তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব।