শেষ আপডেট: 7th April 2025 22:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুল্ক নীতি (tariff policy) নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন (China)। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্প আরোপ করেছিল তারা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এবার পাল্টা চিনকে শাসাল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (যুক্তরাষ্ট্র সময় সাড়ে সকাল ১১টা, ভারতীয় সময় রাত ৯টা) চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করলেন।
এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে চিনা পণ্যের ওপর আমেরিকার শুল্ক বেড়ে দাঁড়াল ৮৪ শতাংশে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। এর বাইরে আরও আছে একটি ১০ শতাংশের ‘গ্লোবাল ট্যারিফ’, যা বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এর ফলে চিনের জন্য আমেরিকার মোট শুল্ক দাঁড়াল ৯৪ শতাংশে।
ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে লেখেন, 'গতকাল চিন আমাদের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। এর আগে থেকেই তারা রেকর্ড পরিমাণ শুল্ক, অ-আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, বেআইনি কোম্পানি ভর্তুকি এবং দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রা কারসাজির মাধ্যমে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে দ্বিরাচিতা ও অন্যায় করে এসেছে। আমি আগেই সতর্ক করেছিলাম, যেকোনও দেশ যদি আমাদের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে, তাহলে তার জবাবে আমরা আরও বেশি পরিমাণ শুল্ক আরোপ করব।'
তিনি হুঁশিয়ারির সুরে আরও বলেন, 'যদি চিন আগামীকাল অর্থাৎ ৮ এপ্রিল ২০২৫-এর মধ্যে তাদের অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে ৯ এপ্রিল থেকে ৫০ শতাংশ নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।'
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প এও জানিয়ে দেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে যেকোনও রকম আলোচনা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। লেখেন, 'চিনের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য যে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, তা বাতিল করা হচ্ছে। অন্য দেশগুলো যারা আমাদের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি, তাদের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা থাকবে এবং দ্রুত বৈঠক শুরু হবে।'
গত ৭২ ঘণ্টায় ট্রাম্পের এই পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণার প্রভাবে শেয়ারবাজার ও অপরিশোধিত তেলের দাম ধারাবাহিকভাবে পতনের মুখে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, 'এই শুল্ক শুধুই পারস্পরিক ভিত্তিতে— যারা আমাদের সঙ্গে যেমন করে, আমরাও তাদের সঙ্গে তেমন করব।'
চিনকে তিনি আবারও আক্রমণ করে বলেন, 'চিন কয়েক দশক ধরে আমেরিকার বিরুদ্ধে শুল্কের নামে চরম অন্যায় করে আসছে।' চিনের পাল্টা পদক্ষেপে তারা অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের সমান। তবে এই ঘটনার আগেই বেইজিং সতর্ক করেছিল, এই পারস্পরিক শুল্ক যুদ্ধে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির সংঘাত শুরু হতে পারে, যা হবে 'বেদনাদায়ক' এবং 'কারও লাভ হবে না।'