শেষ আপডেট: 10th October 2024 08:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রয়াসনবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করল ‘দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।’ প্রোটিনের গঠন এবং নকশা সংক্রান্ত যুগান্তরকারী আবিষ্কারের জন্য রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী। এঁরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডেভিড বেকার এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিক ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার।
অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়েছে, ‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন’ ডিজাইনের জন্য ডেভিড বেকারকে এবং ‘প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন’-র জন্য ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পারকে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
BREAKING NEWS
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 9, 2024
The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the 2024 #NobelPrize in Chemistry with one half to David Baker “for computational protein design” and the other half jointly to Demis Hassabis and John M. Jumper “for protein structure prediction.” pic.twitter.com/gYrdFFcD4T
কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন কী?
প্রোটিন হল জীবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এক কথায় শরীরের শরীরের সমস্ত কার্যক্রম চালাতে সাহায্য করে প্রোটিন। যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা, শরীরে শক্তি সরবরাহ করা, এমনকি কোষগুলোর মধ্যে রক্ত সঞ্চালন করাও প্রোটিনের কাজ। শরীরে উপস্থিত প্রতিটি প্রোটিনের আলাদা আলাদা গঠন থাকে।
তাদের এমন গঠনই কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। শরীরে উপস্থিত যে কোনও প্রোটিনই অ্যামিনো অ্যাসিডের চেইন দিয়ে তৈরি হয়। সমস্ত অ্যামিনো অ্যাসিডের চেন একে অপরের সঙ্গে মিলে গেলে একটি থ্রি-ডি আকার তৈরি করে। এবার আশা যাক কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন সম্পর্কে।
কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের সাহায্যে কম্পিউটার বা বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রোটিন তৈরি করা সম্ভব। অর্থাৎ এই আবিষ্কারের পর থেকে বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করেই প্রোটিন সম্পর্কে সমস্ত খুটিঁনাটি তথ্য পাবে। প্রোটিনের গঠন থেকে শুরু করে আকার। এমনকি কার্যকারিতাতে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। যদি কোনও প্রোটিনে অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিবর্তন ঘটে, আর তা শরীরে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, এসব কিছুই আগে থেকে বুঝে যাবেন বিজ্ঞানীরা।
৫০ বছরের পুরনো স্বপ্ন সত্যি...
নোবেল কমিটি (রসায়ন)-এর চেয়ারম্যান হাইনার লিঙ্কে জানিয়েছেন, ‘৫০ বছরের পুরনো স্বপ্ন সত্যি হল। প্রোটিন স্ট্রাকচার ও অ্যামিনো অ্যাসিড সিকোয়েন্স সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব হল। এই আবিষ্কারের ফলে রসায়নের গবেষণায় অনেক দিক উন্মোচন হল।’
যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালেই। বেকার সেবছরই একটি নতুন প্রোটিন আবিষ্কার করেছিলেন। তারপর থেকে একের পর এক নতুন প্রোটিন তৈরি করেছে তাঁর রিসার্চ টিম, যেগুলি ওষুধে, ভ্যাকসিনে, সেন্সরে ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে হাসাবিস ও জাম্পারের এ আই মডেল অন্তত ২০০ মিলিয়ন প্রোটিন নিয়ে গবেষণা করেছে।
অ্যাকাডেমি সূত্রে খবর, রসায়নে নোবেলজয়ীরা পাবেন একটি মেডেল, সনদপত্র ও ১ কোটি ১০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনা। একাধিক নোবেলজয়ী থাকলে পুরষ্কার মূল্য সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার ঘোষণা হয়েছিল পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারের। জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টনকে পুরস্কৃত করা হবে কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কসহ মেশিন লার্নিংয়ের মৌলিক আবিষ্কারের জন্য। ছটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।