সানা ইউসাফ হলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় টিকটক কনটেন্ট ক্রিয়েটার। তিনি আপার চিত্রালের বাসিন্দা। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৫ লক্ষের কাছাকাছি।
সানা ইউসাফ।
শেষ আপডেট: 3 June 2025 09:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জনপ্রিয় পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ১৭ বছরের এক তরুণীকে ঘরে ঢুকে খুন করা হল। রাজধানী ইসলামাবাদে সোমবার এই ভয়াবহ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পুলিশের সন্দেহ পরিবারের সম্মানরক্ষার জন্য আত্মীয়ই খুন করেছে তাকে। খুনের পর থেকে আততায়ী পলাতক।
সানা ইউসাফ হলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় টিকটক কনটেন্ট ক্রিয়েটার। তিনি আপার চিত্রালের বাসিন্দা। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৫ লক্ষের কাছাকাছি। পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল সামা টিভির খবর, সানার এক আত্মীয় খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে খুন করে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটে সেক্টর-১৩ এলাকায় তাঁর বাড়ির ভিতরে হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের খবর, সন্দেহভাজন ওই আত্মীয় সানাদের বাড়িতে এসেছিল খুন করতেই। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা গিয়েছে, বাড়ির দরজার বাইরে তার সঙ্গে সানাকে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। তারপরেই সানা তাকে ডেকে এনে ঘরে ঢোকায়। ঘরে ঢুকেই সে গুলি চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি গুলি চালিয়েছিল ওই ব্যক্তি। তারপরেই সে ছুটে পালিয়ে যায়।
পুলিশ তদন্ত করে জানিয়েছে, দুটি গুলি খুব কাছ লেগেছিল সানার। তাতেই ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। সানার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। খুনের কারণ নিয়ে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের একাংশের অনুমান, পরিবারের সম্মানরক্ষায় এই খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
সামা টিভি জানিয়েছে, বাড়িতে অতিথি হয়ে এসেছিল খুনি। পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে। সানা ইউসুফ টিকটক ভিডিও খুবই জনপ্রিয় মুখ। প্রায় লাখ পাঁচেক ফলোয়ার আছে তাঁর। চিত্রালের এই কিশোরী কন্যা এক সমাজকর্মীর মেয়ে। বিশেষত টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি ভিডিও পোস্ট করতেন। প্রধানত সাংস্কৃতিক গৌরব, নারী অধিকার, নারীদের শিক্ষা চেতনা, চিত্রালি ঐতিহ্য-পরম্পরা নিয়ে ভিডিও বানাতেন সানা।
সানার এভাবে মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বহু মানুষ বিচারের দাবি জানিয়েছেন। #JusticeForSanaYousuf লিখে নেট-আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে এভাবেই মহিলা অধিকার নিয়ে দাবি তোলায় পাকিস্তানেই তালিবানের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন মালালা ইউসুফজাই। শুধু একটা-দুটো নয়, পাকিস্তানে হরদমই এরকম খুন ঘটেই চলেছে। এ বছরের গোড়ার দিকে কোয়েট্টায় হিরা নামে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে তার বাবা ও মামা মিলে মেরে দেয়। কারণ সে টিকটকে ভিডিও পোস্ট করেছিল।