শেষ আপডেট: 3rd January 2025 17:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নতুন বছরের শুরুতেই নতুন রোগ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এবারও সৌজন্যে চিন। ২০২০ সালের করোনার পর এবার আতঙ্কের নাম হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। সমাজমাধ্যমে এবং বিভিন্ন প্রতিবেদনে ইতিমধ্যে দাবি করা হয়েছে, চিনে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়ে গেছে এই ভাইরাসের জন্য! হাসপাতাল এবং শ্মশানগুলিতেও চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালগুলিতে ব্যাপক ভিড়।
কোভিডকালের ৫ বছর হয়ে গেছে। তাও ২০২০-২১ সালের সেই ভয়াবহ স্মৃতি আজও তাড়া করে বেড়ায় বিশ্ববাসীকে। চিনের সাম্প্রতিক ভিডিও দেখে তাই সকলের মনে প্রশ্ন, আবারও কি '২০২০' ফিরে এল? এই কারণেই রাতারাতি নতুন ভাইরাস নিয়ে সব জায়গায় আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ভাইরাস কী, তার উপসর্গ, সব নিয়েই চর্চা।
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV) কী
২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গেছিল। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে এবং প্রবলভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাচ্চা এবং বয়স্ক তো বটেই, যে কোনও বয়সের মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যেই কাবু করার ক্ষমতা আছে এর। বিশেষ করে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এই ভাইরাস মারাত্মক ক্ষতিকর।
উপসর্গ কী
সাধারণত ঠান্ডা লাগার মতোই উপসর্গ তৈরি করে এই ভাইরাস, ঠিক যেমন করত করোনা ভাইরাস। একদম সাধারণ উপসর্গ কাশি, জ্বর, নাকের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট। তবে মারাত্মক আকার ধারণ করলে যে কোনও রোগীর ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া হতে পারে। ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যেই তার উপসর্গ সামনে আসবে।
কীভাবে ছড়ায় HMPV
ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড ১৯-এর মতো ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়, এই ভাইরাসের সংক্রমণও একইভাবে ঘটে। কাশি বা হাঁচির জীবাণু থেকে হোক কিংবা, রোগীর কাছাকাছি আসা, হাত মেলানো, সংক্রামিত জায়গা ছোঁয়া ইত্যাদি।
HMPV ভাইরাসের প্রকোপ কীভাবে আটকানো যাবে
গবেষকরা বলছেন, করোনার সময়ে যেভাবে মানুষ সতর্ক হয়েছিলেন, এবারও একই পথ অবলম্বন করতে হবে। সময় মতো অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, বাইরে বেরলে নোংরা হাত মুখে না দেওয়া, রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখার মতো কাজ করতে হবে।
চিকিৎসা কী
এখনও পর্যন্ত HMPV ভাইরাস প্রতিরোধে কোনও চিকিৎসা নেই। ওষুধ বা ভ্যাকসিন কিছুই বের হয়নি। রোগীদের যে সকল উপসর্গ ধরা পড়বে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা হবে। ঠিক যেমন করোনার সময়ে হয়েছিল।