শেষ আপডেট: 9th December 2024 16:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৬ মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী ব্যারি উইলমোর। তবে এতদিন ধরে তাঁরা কোনও বন্দিদশা কাটাচ্ছেন এমনটা নয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণাও করছেন।
ডিএনএর-এর মতো ন্যানোনেটেরিয়ালের গবেষণা যেমন চালাচ্ছেন সুনীতারা, তেমনই লেটুস পাতা চাষও করছেন তাঁরা। এবার জানা গেল, মহাকাশের জঞ্জাল পরিষ্কারে হাত লাগিয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস। এমন একটি রোবট নিয়ে কাজ করছেন যেটি মহাকাশ থেকে উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করবে।
'অ্যাস্ট্রো বি' নামের ফ্লাইং রোবোটিক সিস্টেম নিয়ে কাজ করছেন সুনীতা উইলিয়ামরা। মহাকাশে উড়ে বেড়ানো প্রচুর উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ ধরতে এই রোবটে রয়েছে হাতের মতো যন্ত্রও। যাতে সেই জঞ্জালগুলি ধরে সেগুলি সরানো সহজ হয়। শুধু নষ্ট স্যাটেলাইট পরিষ্কার করাই নয়, যে স্যাটেলাইট গুলি কাজ করছে তার সার্ভিসও করতে পারবে এই রোবট।
বছরের পর বছর ধরে মহাকাশে জঞ্জাল বাড়ছে। খারাপ হয়ে যাওয়া বা ধ্বংস হয়ে যাওয়া উপগ্রহগুলি ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের জন্য বর্তমানে যে স্যাটেলাইটগুলি কাজ করছে তাদের সমস্যা বাড়ছে। কারণ যে কোনও সময়ে তাদের মধ্যে ধাক্কা লেগে যেতে পারে। তাতে গবেষণার যেমন ক্ষতি হবে, তেমনই মহাকাশে জঞ্জাল আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে সুনীতাদের এই গবেষণা অত্যন্ত জরুরি।
সুনীতা এবং তাঁর সহকর্মী নভোচারী নিক হেগ কিবো ল্যাবরেটরি মডিউলের লাইফ সায়েন্স গ্লোভবক্স, প্রসেসিং এবং ইমেজিং মেসেঞ্জার আরএনএ নমুনায় কাজ করেছেন। এই গবেষণার লক্ষ্য হল, পৃথিবীতে উৎপাদিত ন্যানোনেটেরিয়ালের তুলনায় মহাকাশে তৈরি হওয়া ন্যানোনেটেরিয়ালের গুণমান মূল্যায়ন করা। পাশাপাশি মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে কীভাবে লেটুস গাছ বেড়ে ওঠে, সেই নিয়ে তাঁদের গবেষণা। জলের পরিমাণ কীভাবে একটি গাছের বেড়ে ওঠায় প্রভাব ফেলে, সেটাও তাঁদের গবেষণার বিষয়।