সুনীতা উইলিয়ামস।
শেষ আপডেট: 11th July 2024 16:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'হেরে যাওয়ার প্রশ্ন নেই, ঠিক একটা উপায় বেরোবে, পৃথিবীতে ফিরতে পারবই!' বুধবার মহাকাশ থেকে সরাসরি লাইভ বার্তায় এমনটাই জানালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস।
গত ৫ জুন নাসার তরফে মহাকাশযান বোয়িং সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার ক্যাপস্যুলে চড়ে মাত্র ৮ দিনের জন্য মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। কিন্তু এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, তাঁরা এখনও মহাকাশেই রয়েছেন। কবে পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরা, তাই নিয়ে খানিকটা উদ্বেগেই রয়েছে মহাকাশচারী মহল। যদিও নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিরাপদেই আছেন সুনীতারা।
তবে উদ্বেগের কারণ যথেষ্টই আছে। কারণ ওই স্টারলাইনার ক্যাপস্যুল ৪৫ দিন পর্যন্ত স্পেস স্টেশনে থাকতে পারে। বর্তমানে সেখানে তাঁদের ৩৫ দিন হয়ে গিয়েছে। ফলে হাতে রয়েছে মাত্র ১০ দিন। এর মধ্যেই বুধবার রাতে নাসার ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় সুনীতার বার্তা। মহাকাশ থেকে সরাসরি পৃথিবীতে বার্তা দেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। এই লাইভটির নাম দেওয়া হয় আর্থ-টু-স্পেস।
এদিন সুনীতা বলেন, 'আমরা যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই মহাকাশযানটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশিক্ষিত। একান্তই যান্ত্রিক কারণে ফেঁসে গেলে, স্পেস স্টেশন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিজেরাই ফেরার রাস্তা বের করতে পারব বলেই আমার বিশ্বাস।' এর পাশাপাশি সুনীতা শেয়ার করেন, মহাকাশে একটি ঘূর্ণিঝড়কে কক্ষপথ থেকে হারিকেনে রূপান্তরিত হতে দেখার অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘বেরিল হারিকেন ঝড়টি বেশ আকর্ষণীয়। আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল পেরিয়ে টেক্সাসে আছড়ে পড়ার ছবিও তুলেছি আমি।'
প্রসঙ্গত, এটিই ছিল বোয়িং-এর প্রথম মহাকাশচারী নিয়ে যাত্রা। তাছাড়া, সাধারণ মানুষ যাতে বেসরকারি উদ্যোগে বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশে বেড়াতে যেতে পারে, সেই পরিকল্পনারও প্রথম ধাপ এই বোয়িং। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, পৃথিবী ছাড়ার পরেই এই বোয়িংয়ের পাঁচটি হিলিয়াম ফুটো হয়ে যায়। এর ফলে নষ্ট হয়ে যায় পাঁচটি ম্যানুভারিং থ্রাস্টার। তবে স্টারলাইনার ওড়ার আগেও রকেটে হিলিয়াম লিকেজের সমস্যা ধরা পড়েছিল। তখনই কেন মহাকাশযানটিকে ত্রুটিমুক্ত করা হয়নি, কেন স্থগিত করা হয়নি এই উড়ান, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বজুড়ে।
মহাকাশযানের এই যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে উইলমোর জানিয়েছেন, ‘ত্রুটিগুলো নিয়ে আলোচনা করছি আমরা। নাসার ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। আমরা আমাদের টিমের সাহায্যে বাড়ি ফেরার একটা উপায় ঠিকই বের করতে পারব। মহাকাশযানটির পারফরমেন্স যথেষ্ট ভাল। সব ঠিক থাকলে জুলাই মাসের শেষের দিকেই ফিরতে পারব আমরা।'