শেষ আপডেট: 6th December 2024 20:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেখতে দেখতে কেটে গেল ৬ মাস! এখনও মহাকাশ থেকে ফিরতে পারলেন না সুনীতা উইলিয়ামস, ব্যারি বুচ উইলমোর। মাত্র ৮ দিনের কাজে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ফেরার সময়ই রকেট খারাপ হয়ে যায়। তখন থেকেই মহাকাশ 'বাড়ি' হয়ে গেছে তাঁদের।
নাসা এলন মাস্কের স্পেস এক্স-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে সুনীতাদের আনার বন্দোবস্ত করেছে। দু-মাস আগেই মহাকাশে তাঁদের উদ্ধারের লক্ষ্যে গেছেন অন্য মহাকাশচারীরা। কিন্তু ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের আগে তাঁদের ফেরার কোনও উপায় নেই। তবে ফেব্রুয়ারি মাসেই যে তাঁরা ফিরতে পারবেন, এমনও নিশ্চয়তা এখনও পর্যন্ত দিতে পারেনি নাসা। ওটা সম্ভাব্য ফেরার সময়।
৬ মাস ধরে স্পেস স্টেশনে থাকার জন্য স্বাভাবিকভাবেই সুনীতাদের শরীরের ওপর প্রভাব পড়েছে। সম্প্রতি যে ছবি বাঁ ভিডিও বার্তায় তাঁদের দেখা গেছিল তাতে পরিস্কার বোঝা যায় যে, তাঁদের চেহারা পাল্টেছে। তবে নাসা এবং সুনীতারা উভয়পক্ষই আশ্বস্ত করেছে, এইটুকু পরিবর্তন স্বাভাবিক, তাঁরা সুস্থই আছেন।
স্পেস স্টেশনে খাওয়া-দাওয়াতেও খুব অসুবিধা হচ্ছে না তাঁদের। পিৎজা থেকে শুরু করে রোস্ট চিকেন, স্ট্যু, শুকনো ফল, সবজি সবই আছে। যদিও অত্যাধিক খাবারের জোগান নেই। তাই কখনও প্রস্রাব মেশানো স্যুপও খেতে হচ্ছে তাঁদের।
এতটা সময় ধরে তাঁরা সেখানে শুধু থাকছেনই না, গবেষণাও করছেন। সম্প্রতি নাসা জানিয়েছে, স্পেস স্টেশনে লেটুস পাতা চাষ করছেন তাঁরা! যদিও এটি খাওয়ার জন্য নয়, গবেষণার জন্যই চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া সুনীতাদের উদ্ধার করতে স্পেস স্টেশনে অন্য মহাকাশচারীরাও গেছেন। তাঁরাও প্রত্যেকে ডিএনএর-এর মতো ন্যানোনেটেরিয়ালগুলির গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন।
দীর্ঘদিন স্পেস স্টেশন থেকে গবেষণার মধ্যে সাফাইকর্মীর ভূমিকাও নিতে হচ্ছে সুনীতাদের। কদিন আগে নিজের হাতেই তিনি পরিস্কার করেছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের শৌচালয়। তবে এই কাজে একা সুনীতা ছিলেন না। তার সঙ্গে সহযোগীতা করেছেন তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরও।