শেষ আপডেট: 22nd September 2024 20:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল চমকে দিলে সব পক্ষকে। শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন জনতা বিমুক্তি পেরামুনার (জেভিপি)-র প্রধান অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। রবিবার সকাল থেকে দেশে কার্ফু জারি করে গণনা শুরু হয়।
শ্রীলঙ্কার বাম মনোভাবাপন্ন এই দলটি এবার ভোটে ভাল ফল করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বিপুল ভোট পেয়ে ক্ষমতায় চলে আসবে, এতটা প্রতাশ্যা ছিল না।
দিশানায়েকে ভোট পেয়েছেন ৪২. ৩১ শতাংশ। প্রায় দশ শতাংশ কম ভোটপেয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে বিরোধী এসজেবি-র নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩২.৭৬ শতাংশ। সবাইকে অবাক করেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ড রনিল বিক্রমসিংহে। তিনি পেয়েছেন মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট।
মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চতুর্থ প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বৈরশাসক রাজাপাকসে পরিবারের নবীন সদস্য রনিল। সে লড়াইয়ে দাঁড়াতে পারেনি। যদিও সবাই জানত রনিল আসলে ভোটের ময়দান চিনতে মাত্র ৩২ বছর বয়সে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল।
দু-বছর আগে শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভের মুখে পটপরিবর্তন হয়। অভ্যত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট ও প্রাইম মিনিস্টার। তাঁরা দু’জনেই রাজাপাকসে পরিবারের দুই ভাই। নতুন সরকারের দায়িত্ব নেন সংসদে এক সদসের দলের নেতা রনিল বিক্রমসিংহে।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে তিনি জায়গা করতে না পারার কারণ, তাঁর সময়ে নেওয়া কঠোর সিদ্ধান্ত। তিনি আয়কর এবং নিত্যপণ্যের পর কর চাপিয়ে এবং ভরতুকি কমিয়ে অপ্রিয় হয়ে যান।
দিশানায়েকের জনতা বিমুক্তি পেরামুনার শ্রীলঙ্কার একটি কমিউনিস্ট পার্টি। মার্কসবাদে বিশ্বাসী এই দলকে গণ অভ্যত্থান পরবর্তী সময়ে বেছে নেওয়াকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। দলের পলিটব্যুরোর সদস্য দিশানায়েকের দল একটা সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মতো সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত ছিল। রাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের ৬০ হাজার কমরেড নিহত হলে দল অবস্থান পরিবর্তন করে। শান্তির পথে বিপ্লব অর্জনের কথা ঘোষণা করে তারা ভোটে অংশ নিতে শুরু করে। যদিও বিগত সংসদে তাদের মাত্র তিনদন সাংসদ ছিলেন। এবার দিশানায়েকের হাতে ভার পড়ল দেশ গড়ার। বিধ্বস্ত অর্থনীতিই এখন শ্রীলঙ্কার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।