শেষ আপডেট: 1st January 2025 15:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণ কোরিয়ায় জেজু এয়ারলাইন্সের ৭সি ২২১৬ বিমান ভেঙে পড়ে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটা স্পষ্ট হয়নি যে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল। বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে এই তথ্য খুব শীঘ্রই মিলবে। দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন দুর্ঘটনার কারণ যত দ্রুত সম্ভব জানার জন্য ওই ব্ল্যাকবক্স আমেরিকা পাঠাচ্ছে বলে খবর।
সে দেশের মাটিতে এটাই এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় বিমান দুর্ঘটনা। ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৯ জনই মারা গেছেন। তাই কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন। সেই কারণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানের ব্ল্যাকবক্স পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমেরিকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা।
এখনও পর্যন্ত যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে তা হল, দুর্ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগে 'মে-ডে' ঘোষণা করেছিলেন পাইলট। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। প্রথমবার ল্যান্ডিং করাতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়বার বিমান ল্যান্ড করাতে গিয়েই ঘটে দুর্ঘটনা। দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন বলছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্সে যে তথ্য রয়েছে তা এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। দেশে থেকে তা উদ্ধার করা যাবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। সে কারণে তা আমেরিকায় পাঠানো হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এই ব্ল্যাকবক্সের পরীক্ষা করবে।
বিমান থেকে দুটি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছিল। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। তার মধ্যে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য উদ্ধার করা গেছে। অন্যটির তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। সেটাই পাঠানো হচ্ছে আমেরিকায়।
দুর্ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রানওয়েতে অবতরণের সময় বিমানটির চাকা না খোলায়, তার নিচের অংশ মাটিতে ঘষে যায় এবং পরে বিমানবন্দরের পাঁচিলে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায়। বোঝা যাচ্ছে, অবতরণের সময় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সঠিকভাবে কাজ না করায় এটি 'বেলি ল্যান্ডিং' করতে বাধ্য হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাইলট যখন অবতরণ করার চেষ্টা করেন, তখন বিমানের চাকা ঠিক করে কাজ করেনি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা, পাখির সঙ্গে ধাক্কা ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।