শেষ আপডেট: 3rd January 2025 11:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে। দেশের রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করতে গিয়েছে সেনা ও পুলিশের যৌথ টিম। প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের প্রাথমিক বাধা অতিক্রম করে যৌথ বাহিনী প্যালেসের ভিতরে প্রবেশ করলেও প্রেসিডন্টের অফিস কক্ষে ঢুকতে পারেনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা ও পুলিশের ২৭০০ অফিসার প্যালেসের বাইরে অপেক্ষা করছেন। পুলিশ ১৩৫ টি বাস প্রস্তুত রেখেছে প্রয়োজনে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিতে।
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টি মানব প্রাচীর তৈরি করে যৌথ বাহিনীকে আটকে রেখেছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, যে কোনও মূহূর্তে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়ে যেতে পারে। তাতে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের প্রাণহানীর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
সিওলের একটি আদালত সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশে বেআইনিভাবে সামরিক আইন জারির অভিযোগে উঠেছে। দেশ ব্যাপী বিক্ষোভের মুখে সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নিলেও দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইমপিচ বা অভিশংসত প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। যার অর্থ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা। শেষ পর্যন্ত ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে তিনিই হবেন দেশের প্রথম বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট। পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছেন।
আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট রেজিমেন্ট আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়। প্রেসিডেন্টের আদেশই তাদের কাছে শেষ কথা। সেই কারণেই সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীকে তারা আটকে দিয়েছে। দু’দিন আগে সিওল পুলিশ প্যালেসে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। শুক্রবার সকালে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করতে প্যালেসের বাইরে অপেক্ষায় দক্ষিণ কোরিয়ার অফিসারেরা
এদিকে, গ্রেফতারের চেষ্টার খবর চাউর হতে ইউন সুক-ইওলের সমর্থকেরা দলে দলে সিউলে হাজির হতে শুরু করেছে। পুলিশ, সেনা ও সরকারি কর্মকর্তাদের ঘিরে নিয়েছে ইউল সমর্থকেরা। পৌঁছে গিয়েছে প্রেসিডেন্ডের আইনজীবীরা। সেনা ও পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছে, সিওলের আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা বেআইনি। তারা স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছে। উচ্চ আদালত এখনও আবেদনের শুনানি করেনি। ইতিমধ্যে কোরিয়ার করাপশন ইনভেস্টিগেশন টিম এক বিবৃতিতে বলেছে প্রেসিডেন্টকে তারা দু’দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেসিডেন্ট প্যালেস ছেড়ে ইউন সুক-ইওলকে করাপশন ইনভেস্টিগেশন টিমের অফিসে থাকতে হবে।