গত বছর এভারেস্ট অভিযান সেরে ফিরে কামি রিতা শেরপা। (ছবিঃ বিবিসি)
শেষ আপডেট: 13th May 2024 19:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পর্বতারোহী হলে তাঁর কাছে এই একটা শিখর ছোঁয়া থাকে স্বপ্নের মত। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট! সেই এভারেস্টের শিখর ২৯-তম বারের জন্য ছুঁয়ে নেমে এলেন কামি রিতা শেরপা!
এভারেস্ট অভিযানে পর্বতারোহীদের সবকিছুই কার্যত নির্ভর করে শেরপাদের ওপর। মালপত্র বওয়া থেকে গিরিপথে পথ দেখানো, খাদ বা ফাটল বাঁচিয়ে চলা সবেতেই শেরপাদের অভিজ্ঞতার ওপরেই চলেন পর্বতারোহীরা। নেপাল-চিন সীমান্তে মাউন্ট এভারেস্ট-সহ একাধিক শৃঙ্গ এইভাবেই শেরপাদের জীবনধারণের একমাত্র উপায় হয়ে রয়েছে। হিমালয়ের এই দুর্গম অংশে জীবনযাত্রা যেন এক মহাযুদ্ধ। চাষবাস নেই, আয়ের বিকল্প উপায় নেই। সেখানে পর্বতারোহণই বাঁচিয়ে রাখে শেরপাদের। পাশাপাশি, আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে নেপাল সরকারও প্রতি বছর এভারেস্ট অভিযানের অনুমতির সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে।
কামি রিতা শেরপা এই মুহূর্তে নেপালের অভিজ্ঞতম শেরপাদের অন্যতম। এই বছরের মে মাসে নিজের রেকর্ড নিজে ভেঙেছেন তিনি। এর আগেও সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্টে ওঠার নজির ছিল তাঁরই। এই ব্যাপারে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাসাং দাওয়া শেরপা। এভারেস্টে সফলভাবে উঠেছেন ২৭ বার।
কামি রিতা শেরপা প্রথম এভারেস্টে ওঠেন ১৯৯৪ সালে। তারপর থেকে প্রায় প্রত্যেক বছরেই এভারেস্ট অভিযানে যাচ্ছেন তিনি। শেরপাদের ছাড়া এভারেস্ট অভিযান অসম্ভব। পাশাপাশি, এভারেস্টে নেপালের দিক থেকে ওঠার 'সাউথ কল'-জুড়ে রয়েছে একাধিক বিপদসংকুল গিরিখাত বা ক্রিভাস। যার মধ্যে খুম্বু আইসফল সবচেয়ে কুখ্যাত। এইখানেই শেরপাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ ছাড়া এক পা-ও এগনো অসম্ভব পর্বতারোহীদের।
কামি রিতা শেরপা বাবাও ছিলেন এভারেস্ট অভিযানের শেরপা। শুধু এভারেস্টই নয়। হিমালয়ের একাধিক সুউচ্চ শিখর জয়ের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। যার মধ্যে রয়েছে কে২, চো-ওয়ু, মনসালু ও লোৎসে। বিশেষ করে পর্বতারোহীদের মধ্যে কে২-কে নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক কাজ করে। দুর্গম পথ, খাড়াই ঢাল, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ইত্যাদির সঙ্গে কার্যত লড়তে হয় তাঁদের। আশা করা যায়, এরপরেও এভারেস্ট অভিযানে যাবেন কামি রিতা। অন্তত তেমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর সাহায্যকারী সংস্থার কর্তারা।