শেষ আপডেট: 25th September 2024 09:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার থেকে টানা লেবাননে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। ইতিমধ্যে শতাধিক শিশু, ৯৪ জন মহিলাসহ অন্তত ৫৫৮ জন নিহত হয়েছেন এই হামলার কারণে। মূলত হিজবুল্লা গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েল সেনা। এই হামলায় হিজবুল্লার মিসাইল চিফ খতম হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
আইডিএফ দাবি করেছে, হিজবুল্লার রকেট অ্যান্ড মিসাইল ফোর্সের চিফ ইব্রাহিম কৌবাইসিকে তাঁরা খতম করতে পেরেছে। বেইরুটের এয়ারস্ট্রাইকে সে নিহত হয়েছে বলেই দাবি। এতদিন ধরে হিজবুল্লা যে মিসাইল অ্যাটাক করত তার মাথা ছিল এই ইব্রাহিম। কয়েকদিন আগেই এই ইব্রাহিমের নেতৃত্বেই ইজরায়েলে ৩০০-র বেশি রকেট হামলা করেছিল হিজবুল্লা। ইজরায়েলের এও দাবি, ইব্রাহিম ছাড়াও হিজবুল্লার আরও দুই প্রধান নেতাকে তাঁরা নিকেশ করতে পেরেছে এই এয়ারস্ট্রাইকে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যে জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একই সময়ে রকেট হামলা করেছে ইজরায়েল। অন্যদিকে এও জানা গেছে, ইজরায়েলি হামলা রুখতে হিজবুল্লা গোষ্ঠীও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়েছে। মূলত ইজরায়েলি বিমানঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় তারা। অন্য একটি সূত্রের খবর, গাজা শহরের একটি স্কুলে রকেট হামলার পর মৃত্যু হয়েছে হামাসের নয়া প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের। ইজরায়েল সেনা বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি হামাসের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে করা হয়েছিল। তাতে ২২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিনওয়ার ছিলেন।
সর্বপ্রথম ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত শুরু হয়েছিল। লাগাতার হামলা চালিয়ে গাজা প্রদেশ কার্যত ধ্বংস করে দেয় ইজরায়েল। এই হামলার বিরোধিতা করে হামাসের পাশে দাঁড়ায় লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠী। তারপর থেকেই ইজরায়েল বাহিনী হামলার মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছে লেবাননের দিকেই। ইজরায়েলের দাবি, হিজবুল্লাকে তারা নির্মূল করবেই। এই অবস্থায় রাষ্ট্রনেতারা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুপক্ষকেই সতর্ক করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘ, আমেরিকা ছাড়াও হিজবুল্লার নেপথ্য পৃষ্ঠপোষক ইরান হুমকির সুরে ইজরায়েলকে পাল্টা জবাবের হুমকি দিয়েছে।
দক্ষিণ লেবানন থেকে ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষ ঘরদোর ছেড়ে পালাচ্ছেন। তাড়াহুড়োতে যে যা হাতের কাছে পাচ্ছেন, তাই নিয়ে পাততাড়ি গুটিয়ে বেইরুটের দিকে রওনা দিচ্ছেন। ইজরায়েলের এহেন আচরণকে আন্তর্জাতিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ বলে ব্যাখ্যা করেছে। তাদের মতে, লড়াই যাদের মধ্যেই হোক না কেন, গুনাগার দিতে হচ্ছে সাধারণ লেবাননিদের।