শেষ আপডেট: 11th March 2025 01:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফেরত দিতে হবে টিভি (TV) এবং প্লেস্টেশন (PlayStation)। জেলে বসেই এমন বায়না একজন ব্রিটিশ সিরিয়াল কিলারের (Serial Killer)। জানা গিয়েছে, কারারক্ষীরা অভিযুক্তর সাধের জিনিস কেড়ে নেওয়ায় বেজায় চটেছেন তিনি। এমনকি খাওয়াদাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত সিরিয়াল কিলারের নাম রবার্ট মডসলি। "হ্যানিবল দ্য ক্যানিবল" নামেই বেশি পরিচিত। জানা গিয়েছে, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দী রয়েছে সে। বেশিরভাগ সময় পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ওয়েকফিল্ডে নির্জন কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।
যদিও রবার্টের ভাই পলের অভিযোগ, তার মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স গেজেট ফেরত না দিলে কিছুই খেতে চাইছে না দাদা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্যাজেটগুলি ছাড়াও একাধিক বই এবং একটি মিউজিক সিস্টেমও কেড়ে নেওয়া হয়। যার জেরেই চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সে।
ভাইয়ের আরও অভিযোগ, কারাগারে জোর আটক রাখা হয়েছে দাদাকে। ভদ্র স্বভাবের হলেও তার বিরুদ্ধে জোর করে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। জেলে ঢুকতেই তাঁর টিভি, প্লেস্টেশন, বই এবং রেডিও সবকিছুই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। পল জানিয়েছেন, তার ৭১ বছর বয়সি ভাই প্রায় এক দশক আগের অবস্থায় ফিরে গিয়েছে। যখন তার কাছে কিছুই ছিল না, একেবারে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাত।
জেলে বসেই নিজের মনে প্লে স্টেশনে দাবা এবং বিভিন্ন যুদ্ধের গেম তিনি খেলত। এছাড়া টিভিতে পুরনো সিনেমা দেখা এবং বই পড়া নেশা ছিল তার। পলের কথায়, মডসলি তাঁকে জানান, "আমি অনশন ধর্মঘট করছি, তাই যদি এটাই তোমার সঙ্গে শেষবারের মতো ফোনে কথা হয়, অবাক হওয়ার কিছু নেই।"
খবরটি চাউর হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে চর্চা। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই সিরিয়াল কিলারের আচরণের জন্য তাকে উপহাস করছেন, আবার কেউ কেউ তার প্রতি সহানুভূতিও জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, "মানুষ রেগে যাওয়ার আগে পুলিশের সবটুকু বিচার করা উচিত। লোকটির বয়স ৭১ বছর এবং তিনি ৪৯ বছর ধরে কারাগারে আছেন, যার বেশিরভাগ সময়ই তিনি নির্জন কারাগারে কাটিয়েছেন। কখনও তাকে মুক্তি দেওয়া যাবে না এটা ঠিক, কিন্তু অযথা এভাবে কেন নির্যাতন করা হচ্ছে?"
আরেকজন লেখেন, "জেলের ভিতরে এমন ভিভিআইপি পরিষেবা শুধুমাত্র বড় অপরাধীরাই পেতে পারে"। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে চার-চারটি খুন করে সিরিয়াল কিলার মডসলি বর্তমানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন। তাঁকেই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী বলে মনে করা হয়।