তবে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেও আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে মস্কো।
ডোনাল্ড ট্রাম্প - ভ্লাদিমির পুতিন
শেষ আপডেট: 4 July 2025 04:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে নিজের লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসবে না রাশিয়া, অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার, এক ঘণ্টার টেলিফোন আলাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি এই বার্তা দেন, জানিয়েছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, রাশিয়া তার নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করবেই। বেশ কিছু সমস্যার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই সেই লক্ষ্য থেকে কিছুতেই রাশিয়া পিছু হটবে না।’
তবে যুদ্ধের মাঝেও আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে মস্কো। উশাকভ বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে আলোচনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানানো হয়েছে।’ এই ফোনালাপ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে হয় বলে তিনি জানান।
ফোনালাপে শুধু ইউক্রেন নয়, ইরান এবং বৃহত্তর পশ্চিম এশিয়ার উত্তেজনা নিয়েও কথা বলেন পুতিন। উশাকভের মতে, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয় যে, সব বিরোধ, মতানৈক্য ও সংঘর্ষ রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক উপায়েই মেটানো উচিত।’
প্রসঙ্গত, এই টেলিফোনিক আলোচনার আগে, চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত কিয়েভ ও তার মিত্রদের কিছুটা অবাক করেছে বলে সূত্রের খবর। অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এসেছে ইউক্রেনে রেকর্ড মাত্রার রুশ বিমান হামলার ঠিক পরেই, যখন যুদ্ধ তার চতুর্থ বছরে প্রবেশ করছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন অস্ত্র মজুতের স্তর নিয়ে নতুন করে মূল্যায়নের ভিত্তিতেই এই স্থগিতাদেশ। কারণ, মজুত করা পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে।
যেসব অস্ত্র সরবরাহ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৫৫ মিমি আর্টিলারি শেল এবং প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই অস্ত্রগুলোর অভাবে রুশ ড্রোন ও মিসাইল হামলা মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্ষমতায় আসার সময় ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেদিকে তেমন অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এখনও যুদ্ধবিরতির কোনও প্রস্তাব মেনে নেননি, এমনকী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নিম্নস্তরের কূটনৈতিক আলোচনায় বন্দি বিনিময়ের মতো কিছু অগ্রগতি হলেও, এখনও পর্যন্ত এই সংঘাত নিরসনের ব্যাপারে কোনও বড় রকমের সমঝোতা হয়নি বলেই জানা গেছে।