রবার্ট কিয়োসাকি
শেষ আপডেট: 15th April 2025 18:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিখ্যাত অর্থনৈতিক চিন্তাবিদ এবং ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইয়ের লেখক রবার্ট কিয়োসাকি আবারও গুরুতর সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে। তাঁর মতে, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক ধস এখন সত্যি সত্যিই শুরু হয়ে গেছে। এর প্রমাণ হিসেবে তিনি দেখাচ্ছেন সোনা, রুপো এবং বিটকয়েনের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ কিয়োসাকি লেখেন, 'সোনা, রুপো ও বিটকয়েনের কথা শুনুন, তারা আপনাকে কী বলছে? সোনার দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ, রুপোর চাহিদা আকাশছোঁয়া, আর বিটকয়েন হু হু করে বাড়ছে। আপনি কি শুনছেন? আমি বহুবার বলেছি, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় স্টক ও বন্ড বাজার ধস আসছে।'
তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর লেখা বই যেমন Rich Dad's Prophecy, Who Stole My Pension, ও Fake-এ এই ধসের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, এখন সেই ভবিষ্যদ্বাণীই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
কিয়োসাকি বলেন, 'ইতিমধ্যেই বিশাল ধস এসে গেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ও অসৎ মার্কিন ডলারের পাহাড় ধ্বংসের পথে। স্টক, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ও ইটিএফ-এ যাঁরা অর্থ সঞ্চয় করছিলেন, তাঁদের সম্পদ গায়েব হয়ে যাচ্ছে। কারণ একটা ভয়ংকর বৈশ্বিক ব্যাঙ্কিং ষড়যন্ত্র চলছে।'
এই দুর্দশা থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে কিয়োসাকির পরামর্শ খুব স্পষ্ট। যাঁরা এখনই সোনা, রুপো ও বিটকয়েন কিনছেন, তাঁরা হয়তো এই পরিকল্পিত বিপর্যয় থেকে বেঁচে যাবেন এবং আগামী বিশ্বের নতুন ধনী ও নেতৃত্বে পরিণত হবেন।
তিনি বিশ্বাস করেন, প্রচলিত সঞ্চয়ের মাধ্যমগুলোর ওপর ভরসা করে থাকা এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ডলার দুর্বল হওয়ায় এবং বাজারে অস্থিরতা বাড়ায়, এ ধরনের বিনিয়োগ থেকে পুঁজি হারানোর সম্ভাবনা প্রবল।
রবার্ট কিয়োসাকি কোনও রাখঢাক না রেখেই দোষারোপ করেছেন বিশ্বব্যাপী সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলিকে। তিনি বলেছেন, এই আর্থিক বিপর্যয় পূর্ব পরিকল্পিত এবং এর পেছনে রয়েছে একটি 'দুষ্ট' বৈশ্বিক ব্যাঙ্কিং চক্র, যারা জনসাধারণের অর্থ লোপাট করছে। তাঁর মতে, তারা সঞ্চয়কারীদের কাছ থেকে ধনসম্পদ ছিনিয়ে নিচ্ছে একটি দুর্নীতিপূর্ণ ব্যবস্থার মাধ্যমে।
সেই কারণেই তিনি বারবার বলেছেন, ‘আসল’ সম্পদ, যেমন মূল্যবান ধাতু ও ক্রিপ্টোকারেন্সি, সেগুলিতে বিনিয়োগ করলে এই কঠিন সময়েও সুরক্ষিত থাকার উপায় বেরোতে পারে।
সব মিলিয়ে কিয়োসাকির বক্তব্য সহজ ও স্পষ্ট। প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থা থেকে সরে গিয়ে বিকল্প সম্পদে বিনিয়োগ করতে হবে, তবেই আগামীর সঙ্কট থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।