শেষ আপডেট: 2nd August 2024 13:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি তেহরানে ছিলেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই মৃত্যু হয় হামাস গোষ্ঠীর প্রধান ইসমাইল হানিয়ের। এই হত্যার দায় ইজরায়েল স্বীকার না করলেও হামাস তাদেরকেই দোষারোপ করেছে। এখন একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, হানিয়েকে খুন করার জন্য কমপক্ষে ২ মাস ধরে পরিকল্পনা করেছিল মোসাদ।
ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়ের গেস্ট হাউজে একটি 'গুপ্ত' হামলা চালানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাতেই হানিয়ে এবং তাঁর দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, অন্তত ২ মাস আগে ওই গেস্ট হাউজে 'দূর নিয়ন্ত্রক' বোমা বসিয়েছিল ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। ঘটনার দিন গভীর রাতে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
হানিয়েকে খুন করার জন্য যে কতটা নিখুঁত পরিকল্পনা করেছিল মোসাদ তা ইরান সেনার এক কর্তার কথায় স্পষ্ট। তিনি জানিয়েছেন, হানিয়ে যে ঘরে ছিলেন সেই ঘরের একটি দেওয়াল এই বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে। তবে গেস্ট হাউজের বাকি কোনও অংশে কোনও ক্ষতি হয়নি। এর থেকে বোঝা যায়, বাইরে থেকে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়নি সেখানে। শুধুমাত্র হানিয়েকেই মারার ছক করে এই বোমা রাখা হয়েছিল। এই হামলার পর ইতিমধ্যে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইরান।
৭ অক্টোবরের হামলার পর ইজরায়েল দাবি করেছিল যে, তারা হামাস প্রধান হানিয়েকে হত্যা করেই ছাড়বে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি সেনা এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে হামাস গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন হানিয়ে। তার বহু বছর আগে ১৯৮৯ সালে হানিয়েকে তিন বছর বন্দী করে রেখেছিল ইজরায়েল। পরবর্তী সময়ে তাকে ইজরায়েল এবং লেবাননের মাঝে এক 'নো-ম্যানস-ল্যান্ড' এলাকায় নির্বাসিত করা হয়। নির্বাসন কাটিয়ে আসার পর ১৯৯৭ সালে হামাস গোষ্ঠীর সদস্য হন হানিয়ে।