শেষ আপডেট: 4th November 2024 12:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কড়া পোশাকবিধির বিরোধিতা করে ইরানের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ক্যাম্পাসের মধ্যেই নিজের পোশাক খুলে শুধু অন্তর্বাস পরে ঘুরেছিলেন। সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরেই জানা যায় ওই তরুণী নিখোঁজ! স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে সকলের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানা গেছে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার তরুণীকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ইরানে।
ইরানের শরিয়ত আইন অনুযায়ী, রাস্তায় বেরলে মহিলাদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। এর সঙ্গে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। সেই কড়া আইনের বিরোধিতা করে দীর্ঘ সময় ধরেই সে দেশে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। এর আগে ২০২২ সালে হিজাব না পরায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে হেফাজতে তাঁর মৃ্ত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয় ইরান। এখন আবার এই তরুণীর ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশে।
তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোশাক খুলে ঘোরা ওই তরুণীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তোলা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশি হেফাজতে যাতে তাঁকে কোনও রকম অত্যাচার না করা হয় সেই দাবিতেও সরব হয়েছেন ইরানের সাধারণ নাগরিকের একটা বড় অংশ। ইতিমধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে শুরু করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কারণ পুলিশ ওই তরুণীকে মারধর এবং যৌন হেনস্থা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, পোশাকবিধির বিরোধিতা করে ওই তরুণী একাই নির্বাক প্রতিবাদ করছিলেন। সেই সময়ে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বাধা দেয়। তাঁর পোশাক ছেঁড়ার চেষ্টা হয় বলে দাবি। এরপর থেকেই ওই তরুণীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানা যায়, তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন।
২০২২ সালে মাহসা আমিনি নামের এক মহিলা হিজাব না পরে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। পরে পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও যথেষ্ট রহস্য রয়েছে। আমিনির মৃত্যুর পর ইরান জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। প্রতিবাদীরা হিজাব খুলে, চুল কেটে পথে নেমেছিলেন। এখন আবার সেই একই ঘটনার কার্যত পুনরাবৃত্তি হয়েছে ইরানে।