শেষ আপডেট: 3rd January 2025 20:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শুক্রবার সকালে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে দেশের রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল সেনা ও পুলিশের যৌথ টিম। প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের প্রাথমিক বাধা অতিক্রম করতে পারেনি তারা।
যৌথ বাহিনী প্যালেসের ভিতরে প্রবেশ করলেও প্রেসিডন্টের অফিস কক্ষে তাদের ঢুকতে দেয়নি তাঁর বাহিনী। দু তরফের আলোচনায় কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। রক্তপাত এড়াতে ফিরে যায় সেনা ও পুলিশ।
ছয় ঘণ্টা ধরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টি মানব প্রাচীর তৈরি করে যৌথ রাখে। যে কোনও মুহূর্তে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাতে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের প্রাণহানীর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না।
সিওলের একটি আদালত সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশে বেআইনিভাবে সামরিক আইন জারির অভিযোগে উঠেছে। দেশ ব্যাপী বিক্ষোভের মুখে সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নিলেও দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইমপিচ বা অভিশংসত প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। যার অর্থ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা। শেষ পর্যন্ত ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে তিনিই হতেন দেশের প্রথম বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট। পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছেন।
সরকারি সুত্রে বলা হয়েছে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। সোমবারের মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করে সিওলের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ফলে আত্মসমর্পণ না করলে সোমবারের আগে ফের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হবে।
প্রেসিডেন্ট একজন আইন বিশারদ। ওই পদে বসার আগে দেশের মুখ্য আইন উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি জানেন, তাঁকে গ্রেফতারের আদেশ কীভাবে আদালতে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি ধরা না দিয়ে আইনি লড়াই চালাতে চান।
আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট রেজিমেন্ট আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়। প্রেসিডেন্টের আদেশই তাদের কাছে শেষ কথা। সেই কারণেই সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীকে তারা আটকে দেয়। দু’দিন আগেও সিওল পুলিশ প্যালেসে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। শুক্রবার সকালে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীকে পাঠানো হয়। তারাও ব্যর্থ হয়েছে।