শেষ আপডেট: 13th January 2025 19:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (EMSC) জানিয়েছে, সোমবার জাপানের কিউশু অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬.৯। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল হল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭ কিলোমিটার (২৩ মাইল) গভীরে। আকস্মিক এই ভূমিকম্পে এলাকাটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভূমিকম্পের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর এখনও নিশ্চিত নয়। তবে স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। উল্লেখ্য, জাপান ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত এবং এখানে প্রায়ই ভূকম্পন হয়। এই অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে ভবিষ্যতে আরও সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার কথা বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
কেন এত ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে? কী ঘটনা ঘটছে পৃথিবীর অন্দরে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছর দুয়েক ধরে নেপালে পরপর যে সব ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে গোটা হিমালয়ের ভূস্তর আরও অস্থির হয়ে গেছে। এর ফলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের পরেও শক্তিশালী ভূমিকম্পোত্তর কম্পন (আফটার শক) অনুভূত হচ্ছে।
বারবার আফটার শকের কারণ কী?
উপগ্রহ চিত্রে পৃথিবীর যে রূপ এখন আমরা দেখতে পাই তার সঙ্গে কোটি কোটি বছর আগের পৃথিবীর মিল নেই। একটু একটু করে রূপ বদলাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বদলের অন্যতম কারণ হচ্ছে এই টেকটনিক প্লেট ও তার নীচে পৃথিবীর গভীরে থাকা ম্যান্টল স্তরের চলাফেরা। গলিত ম্যান্টলের প্রবাহের ফলে তার উপরের টেকটনিক প্লেটগুলোর একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। কখনও মৃদু ধাক্কা আবার কখনও জোরদার ঠোকাঠুকি হয়ে প্লেটগুলো একে অপরের থেকে দূরে সরে যায়। কখনও বা একটি প্লেট অন্যটার ঘাড়ে উঠে যায়। এই ধাক্কাধাক্কির ফলেই ভূত্বকের পরিবর্তন হয়। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গী হয় ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত বা কখনও সুনামি।