শেষ আপডেট: 30th December 2024 15:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি যাত্রীবাহী বিমান অবতরণের সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৯ জনই মারা গেছেন এই ঘটনায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটা স্পষ্ট নয়, কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল। তবে বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অনেকের ধারণা, তা থেকেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যেতে পারে।
জেজু এয়ারলাইন্সের ৭সি ২২১৬ বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিল। অবতরণের মুহূর্তে রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। এখনও পর্যন্তে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে জানা গেছে, দুর্ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগে 'মে-ডে' ঘোষণা করেছিলেন পাইলট। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। প্রথমবার ল্যান্ডিং করাতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়বার বিমান ল্যান্ড করাতে গিয়েই ঘটে দুর্ঘটনা।
ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে দু’টি ব্ল্যাক বক্স, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, তা থেকেই দুর্ঘটনার আসল কারণ বেরিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, রানওয়েতে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পাঁচিলে আছড়ে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় বিমানটিতে। তাতে মোট ১৮১ জন ছিলেন, যার মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু সদস্য।
দুর্ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রানওয়েতে অবতরণের সময় বিমানটির চাকা না খোলায়, তার নিচের অংশ মাটিতে ঘষে যায় এবং পরে বিমানবন্দরের পাঁচিলে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায়। বোঝা যাচ্ছে, অবতরণের সময় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সঠিকভাবে কাজ না করায় এটি 'বেলি ল্যান্ডিং' করতে বাধ্য হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাইলট যখন অবতরণ করার চেষ্টা করেন, তখন বিমানের চাকা ঠিক করে কাজ করেনি।
মুয়ানের দমকল বিভাগের প্রধান লি জং-হিউন জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়াও এই দুর্ঘটনার জন্য আংশিকভাবে দায়ী। তিনি বলেন, পাখির সঙ্গে ধাক্কা ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।