শেষ আপডেট: 25th September 2024 10:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আসছে বছর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীরা বিদেশ সফরে গেলে আর পিআইএ-তে সফর করবেন না। বেসরকারি অর্থা ভাড়া করা বিমানে বিদেশে যেতে হবে তাঁদের। কারণ সরকারি বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে পাক মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১ অক্টোবর এ জন্য অনলাইন নিলাম হবে। জানা যাচ্ছে ভারতের দুটি বেসরকারি বিমান সংস্থা নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে পাকিস্তান সরকার সম্মতি দেবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, ২০১৯ থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সরু সুতোয় ঝুলছে। সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন আছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আন্তর্জাতিক একাধিক দাতা সংস্থা দেশটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের এমন অবস্থা যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি বহুদিন যাবত বিদেশ সফর স্থগিত রেখেছেন। আগের সরকারের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো নিজের পয়সায় বিদেশ সফর করেছেন। দেশের স্বার্থে বিমান ও হোটেল ভাড়া নিজের পকেট থেকে মিটিয়েছেন তিনি।
আর্থিক কারণেই আন্তর্জাতির সম্মেলন নিজেদের দেশে আয়োজন করতে পাকিস্তান আগ্রহ দেখাচ্ছে না। অনেক সম্মেলনেই পাক প্রতিনিধিরা অনলাইনে যুক্ত হচ্ছেন। গত বছর নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে পাকিস্তান সরকার পরিচালিত দুটি হোটেল বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
পিআইএ বা পাকিস্তান এয়ারলাইনস অনেকটাই এয়ার ইন্ডিয়ার মতো বিশ্বের দরবারে দেশের প্রতীক। লোকসানের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া ফের সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা টাটারা কিনে নিয়েছে। যদিও সরকারের অংশিদারিত্ব আছে।
পাকিস্তান সরকার পিআইএ-র একশো শতাংশ মালিকানা হস্তান্তরের পক্ষে। তবে ক্রেতা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ দেশি-বিদেশি বহু কোম্পানির বিপুল টাকার ঋণের বোঝা চেপে আছে পিআইএ-র ঘাড়ে। বছর দুই আগে লোকসানে চলা সংস্থাটির ৫০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির চেষ্টা হয়েছিল। কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি। একই দশা হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ারও। অনেক পরীক্ষানিরীক্ষার পর প্রায় দেড় দশকের চেষ্টায় ভারত সরকার টাটাদের হাতেই সমর্পণ করে এয়ার ইন্ডিয়া।