Advertisement
প্রতীকী ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 27 April 2025 18:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করতেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পাকিস্তান। তবে এই সিদ্ধান্তের জেরে তাদেরই সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। পাকিস্তানের বাজারে ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসলামাবাদ (Pakistan takes emergency steps for pharma supplies)।
শনিবার এক পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করার পর পাকিস্তানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য "জরুরি ব্যবস্থা" গ্রহণ করেছে। তারা জরুরি ভিত্তিতে ওষুধের জোগানের বিকল্প খুঁজছে। যাতে দেশের বাজারে ওষুধের সংকট তৈরি না হয়।
গত বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আড়াই ঘণ্টার বৈঠকের পর একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ভারত যে যে পদক্ষেপ করেছে তার জবাবে তারাও বাণিজ্য সম্পর্ক সহ আকাশপথ বন্ধ করে দেবে। বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে সেদেশের বাজারে কোনও প্রভাব এখনও পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করেছে দিয়েছে পাক সরকার।
২০১৯ সালে বালাকোটে সার্জিক্যল স্ট্রাইকের (Balakot airstrike) পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। যার বড় প্রভাব পড়েছিল দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে। সেইসময়েও পর্যাপ্ত ওষুধের অভাব দেখা গিয়েছিল। এবার বাণিজ্য বন্ধ করলে সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার মাঠে নামছে পাক সরকার।
বর্তমানে ওষুধ, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও বিভিন্ন সরঞ্জামের ৩০-৪০ শতাংশ ভারত (India) থেকে আমদানি করে পাকিস্তান। পাক স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, ক্যানসার থেরাপি, বিভিন্ন ভ্যাকসিন, সাপের বিষ প্রতিরোধক ওষুধ ভারত থেকেই আসে। বাণিজ্য বন্ধের প্রভাব শীঘ্রই ওষুধের বাজারে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এবার ওষুধ ও কাঁচামালের জোগানের জন্য রাশিয়া, চিন সহ একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পাকিস্তান। এখনও কারও সঙ্গে পাকাপাকিভাবে হাত মেলায়নি পাক সরকার।
এই পরিস্থিতিতে ওষুধের কালোবাজারি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফগানিস্তান, ইরান, দুবাই থেকে অবৈধ ওষুধ পাকিস্তানের বাজারে ছেয়ে যেতে পারে, মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তাই সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
Advertisement
Advertisement