দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইমামপুত্র, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Pakistan Army Chief Asim Munir) 'রণক্ষুধার্ত' বলে পাকিস্তানি জনতার কাছেই অপ্রিয় পাত্র। পহলগাম জঙ্গি হানার আগে তাঁর দ্বিজাতিতত্ত্বের ভাষণেই দুদেশের পরিস্থিতি মহড়াযুদ্ধের দিকে মোড় নিয়েছে। তা সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক সরকারকে ডিঙিয়ে পাক সুপ্রিম কোর্ট (Pak Supreme Court) আসিম মুনিরের কাঁধেই সর্বশক্তিমানের ক্ষমতা দিয়েছে। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত সম্প্রতি দেশের বকলমা শাসকের হাতে আরও ক্ষমতা তুলে দিয়েছে আদালত।

এই ক্ষমতাবলে পাক সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের বিচারও সামরিক আদালতে করতে পারবে। অর্থাৎ, নির্বিচারে ধরপাকড় করা লোকজনের বিচার হতে পারবে সামরিক আদালতে। যার মানে সামরিক ব্যবস্থাকে মুক্তহাতে পরিচালনার অধিকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার সরকার বদলের আগে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক দিয়ে নির্বাচিত সরকার গদিতে থাকা সত্ত্বেও বিদ্রোহী দমনের নামে সেনাবাহিনীর প্রধানের হাতে বিচারের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা তুলে দেওয়াকে অনেকেই অশনি সংকেত বলে মনে করছেন।

জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত ও আশ্রয় দেওয়ার পরিণতিতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পরবর্তী অবস্থায় শাহবাজ শরিফ (Pakistan Prime Minister Shehbaz Sharif ) খুব একটা স্বস্তিতে নেই। তাঁর সরকারের সমস্ত রকম সামরিক অভিযান ও কূটনৈতিক অভিযান ব্যর্থ হয়ে চলেছে। যা নিয়ে পাক সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কিন্তু, যুদ্ধ যুদ্ধ করলেও পাকিস্তানের এখন ভাঁড়ে মা ভবানী দশা। 

পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকের দাবি, তাদের এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে একটি গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর সেটা হল, শুক্রবারই পাকিস্তান আন্তর্জাতিক শরিক দেশগুলির কাছে আরও ঋণভিক্ষা করেছে। কিন্তু, মন্ত্রক সূত্র এটাকে গুজব বলে জানিয়েছে। সংবাদ সংস্থাকে বলা হয়েছে, তারা এরকম কোনও টুইট করেনি। ওই টুইটে ঋণভিক্ষা ছাড়াও দুদেশের উত্তেজনা কমাতে বৈদেশিক বন্ধুদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা হয়েছে। এমনকী এই খবর লেখার সময় পর্যন্ত পাকিস্তানি মন্ত্রকের টুইটে এই বার্তাটি দেখা যাচ্ছিল।