ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 10 May 2025 10:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Pakistan PM Shehbaz Sharif) দেশের ন্যাশনাল কমান্ড অথিরিটির (National Defence Authority of Pakistan) বৈঠক ডেকেছেন। পাকিস্তান রেডিও (Pakistan Radio) দেশের সেনা জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর (Inter Services Public Relations) -কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বৈঠকে সেনার তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ, স্ট্রাটেজিক প্লানস ডিভিশন (এসপিডি)-র ডিরেক্টররা হাজির থাকবেন।
এসপিডি পাকিস্তানের পারমানবিক অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেয় এনসিএ বা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী পরমাণ অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক ডাকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান ভারতে পরমাণ বোমা নিক্ষেপ করতে প্রস্তুত হচ্ছে কি না সেই আলোচনা শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। যদিও জবাব দেওয়ার পূর্ণ সক্ষমতা আছে ভারতেরও। ফলে পরমাণু বোমা ছুড়ে রেহাই পাওয়ার উপায় নেই। তাছাড়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার সম্ভাবনা তো আছেই।
ভারতেও পরমাণ অস্ত্রের জন্য পৃথক একটি কমান্ড আছে। সেটি সেনা বাহিনীর কোনও কমান্ডের অধীনস্ত নয়। সরাসরি সেনাধ্যক্ষ বা চিফ অফ স্টাফস দেখাশোনা করেন।
ভারত ও পাকিস্তান কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত পুরোদস্তুর যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। নিজেদের সীমানায় দাঁড়িয়ে গোলা বর্ষণ করছে। যেমনটা হয়েছিল ১৯৯৯-এর কারগিল সংঘাতের সময়। পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ ন্যাশনাল কমান্ড অথিরিটির বৈঠক ডাকায় কারও কারও মত, পাকিস্তান পুরোমাত্রায় যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।
যদিও এই ব্যাপারে ভিন্ন মতও আছে। তাহল, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক ডেকে শরিফ আসলে চলতি সংঘাত থামানোর কৌশল নিচ্ছেন। যাতে আন্তর্জাতির মহল চলতি আঘাত-প্রত্যাঘাত থামাতে আরও সক্রিয় হয়। আর্থিক পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের পক্ষে বেশিদিন সংঘাত চালিয়ে যাওয়া কঠিন। কোনও কোনও মহল ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বৈঠককে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রুটিন বিষয় বলেও মনে করছে। ওই মহলের মতে, কারগিল সংঘাতের সময়ও সেনার চাপে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন।