দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহেলগাম জঙ্গি হামলার বদলা নিয়ে 'অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor) করেছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের এই প্রত্যাঘাত হজম করতে পারেনি পাকিস্তান (Pakistan)। নিয়ন্ত্রণ রেখায় বারংবার গুলিবর্ষণ করছে তারা। এদিকে ইসলামাবাদের তরফে ভারতের হামলার নিন্দা করেও ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। যা প্রকাশ্যে আসতেই ট্রোল হচ্ছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Khwaja Asif)।

জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার একাধিক ভিডিও ভারতীয় সেনা সামনে এনেছে। পাকিস্তানের স্থানীয় একাধিক নাগরিকও সংবাদমাধ্যমে এই প্রত্যাঘাতের বিবরণ দিয়েছেন। তবে পাক সরকারের তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ দাবি করেছিলেন, তাঁরা ভারতের ৫টি রাফালে যুদ্ধবিমান নাকি ধ্বংস করেছেন। আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে এমনই বলেন আসিফ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আসল বিষয়টি সামনে এসেছে। প্রমাণ মিলেছে, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। 

ভারতীয় সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর সব সেনাই নিরাপদে ফিরে এসেছেন। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছিলেন, ভারতের ৫টি রাফালেকে সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সেনা। সেই সাক্ষাৎকারেই তাঁর থেকে 'প্রমাণ' চাওয়া হলে তিনি বলেন, সব সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নাকি এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে দেখা যায়, পুরোটাই অসত্য। 

স্থল, নৌ এবং বায়ু সেনার যৌথ অভিযানে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারত। পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় বদলা নিয়েছে। তবে আর কোনও প্রত্যাঘাত হবে কিনা, সে নিয়ে এখনও কোনও আভাস আসেনি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ অবশ্য আগেই গলা শুকিয়ে বলেছিলেন, ভারতকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবে পাকিস্তান যদি ভারত আর কোনও স্ট্রাইক না করে। 

যদিও ইসলামাবাদের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল তাতে দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের অধিকার রয়েছে এই হামলার পাল্টা দেওয়ার এবং সময়-সুবিধা মতোই তা করা হবে। কিন্তু তাঁদেরই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায় অন্য সুর।