৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার সময়ই বালোচিস্তান (Balochistan) স্বাধীন দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। যদিও কয়েকমাসের ব্যবধানেই স্বাধীন বালোচিস্তান দখল করে নেয় পাকিস্তান (Pakistan)।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 16 May 2025 20:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার সময়ই বালোচিস্তান (Balochistan) স্বাধীন দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। যদিও কয়েকমাসের ব্যবধানেই স্বাধীন বালোচিস্তান দখল করে নেয় পাকিস্তান (Pakistan)। এবার সরাসরি নিজেদের 'স্বাধীন দেশ' বলে ঘোষণা করলেন, বালোচিস্তানের জাতীয়তাবাদী নেতা মীর ইয়ার বালোচ (Mir Yar Baloch)। তাঁর দাবি জনগণ তাদের জাতীয় রায় দিয়েছে। কাজেই বালোচিস্তান আর পাকিস্তান নয়।
মহম্মদ আলি জিন্নার হাত ধরে যখন স্বাধীন হয় তখন থেকেই বালোচিস্তান নিয়ে অস্বস্তিতে পাকিস্তান। যার শুরুটা কালাত শহরে ইসলামাবাদের দখলদারিতে। বালোচিস্তানকে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত করার প্রক্রিয়া যেই থেকে শুরু হয়েছে, তখন থেকেই বিদ্রোহ ছড়ায়। গত দু'দশক ধরে যা প্রতিহত করে আসছে বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা।
ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'-এ ধরাশায়ী হওয়ার পর সেই বালোচিস্তান হাতছাড়া। পাকিস্তান দু' টুকরো হয়ে 'স্বাধীন' বালোচিস্তান ঘোষণা করেছেন বালোচ বিদ্রোহের অন্যতম নেতা মীর। এ ব্যাপারে বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ইসলামাবাদ এই অঞ্চলে দশকের পর দশক ধরে অত্যাচার চালাচ্ছে। প্রশ্ন তোলায় গুম করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। যার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এখন আর বিশ্বকে চুপ করে থাকতে হবে না।
এমন পরিস্থিতিতে বালোচ আমেরিকান কংগ্রেসের মহাসচিব রাজ্জাক বালোচ (Razzak Baloch) এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বলেছেন, পাকিস্তান আর বালোচের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণে নেই।
তাঁর কথায় পাকিস্তানি বাহিনী সন্ধ্যার পরেও কোয়েটা ছেড়ে যেতে পারে না। এদিকে নির্বাচিত পাকিস্তানি কর্মকর্তারাও এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেছেন, নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় সেনাবাহিনী বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত টহল দেওয়া এড়িয়ে যাচ্ছে। রাজ্জাক আরও বলেছেন যে, পাকিস্তান এই অঞ্চলের ৭০-৮০ শতাংশের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বিশ্ব শক্তি, বিশেষ করে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বালোচের এই সংগ্রামকে সমর্থন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "ভারত যদি আমাদের সমর্থন করে, তাহলে আমাদের দরজা খুলে যাবে"। সতর্ক করে এও জানিয়ে দেন, সমর্থনে বিলম্ব হলে তা কেবল পাকিস্তানের 'বর্বর সেনাবাহিনী'কে আরও শক্তিশালী করবে, যা বালোচের স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলবে।