ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 10 May 2025 09:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বারে বারে চেষ্টা চালিয়েও ভারতের বিমান প্রতিরোধ (India’s air defence) ব্যবস্থা ভাঙতে পারেনি পাকিস্তান (Pakistan)। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) এবং রাজস্থান (Rajasthan) ও গুজরাতের (Gujrat) একাধিক জায়গায় পাকিস্তানি সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী (Indian defence) । ভারতের হামলায় বিমান প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পাকিস্তান ঢাল করেছে অসামরিক বিমানকে। স্পর্শকাতর এলাকা রক্ষায় সেখান দিয়ে যাত্রীবাহীন বিমান চালাচ্ছে তারা।
ভারতের সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই বড় ধরনের চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান আসিফ মুনির দেশবাসীর প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছেন। দেশের সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই জাতির উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ায় সেনাপ্রধানকে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছেন।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান অতীতে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে জঙ্গি হামলা সংঘঠিত করেছে। ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় জম্মু-কাশ্মীরের গ্রামে পাক জঙ্গিদের হামলা চালানোর একাধিক নির্দশন আছে। ১৯৯৯-এ কারগিল সংঘাতের সময়ও দু -দেশের সেনা যখন নিজেদের সীমানায় দাঁড়িয়ে পরস্পরের দিকে গোলা ছুঁড়ছিল তখন কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল।
এবারও তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে আসিফ মুনির সেনা প্রধান থাকায় এই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে। ২০১৯-এ পুলওয়ামায় আধা সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আসিফ। তিনি তখন ছিলেন পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান।
ভারতীয় গোয়েন্দারা আরও একটি কারণে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছেন। ৭ মে ভারতীয় বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নিহত জঙ্গিদের পাকিস্তান যেভাবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টির ব্যবস্থা করে তা রীতিমতো ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিদের মনোবল বাড়িয়ে নতুন করে হামলার জন্য প্রস্তুত করতেই ওই কৌশল নেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা কর্তারা ইতিমধ্যে পাক সীমান্তবর্তী সব রাজ্য সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে সতর্ক করেছে। তারা মনে করছেন মুখ বাঁচাতে পাক সেনাপ্রধান মুনির জঙ্গি হামলাকে কৌশল করতে পারেন।