Advertisement
গ্রাফিক্স-দ্য ওয়াল
Advertisement
শেষ আপডেট: 26 April 2025 12:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার জের, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। তাঁর মধ্যে একটি হল সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখা। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই চুক্তি বাতিল হলে পাকিস্তানে জলসংকটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরই হুঙ্কার পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর হুঙ্কার, 'হয় সিন্ধুতে জল বইবে না হলে ভারতীয়দের রক্ত' (Bilawal Bhutto on Indus treaty freeze)।
শুক্রবার এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (Pakistan Peoples Party) প্রধান তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ((Bilawal Bhutto Zardari)। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "সিন্ধু নদ আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে। এখানে হয় জল বইবে না হলে তাঁদের (ভারতীয়) রক্ত বইবে।" অন্যদিকে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল আরও একবার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, "পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাতে আমরা নিশ্চিত করব যাতে সিন্ধু নদ থেকে এক ফোঁটা জলও পাকিস্তানে প্রবাহিত না হয়।"
ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়ার পরই বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। আড়াই ঘণ্টার বৈঠকের পর একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ভারত যে যে পদক্ষেপ করেছে তার জবাবে তারাও বাণিজ্য সম্পর্ক সহ আকাশপথ বন্ধ করে দেবে। সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে কোনও বিরূপ পদক্ষেপকে যুদ্ধের সমতুল্য বলেই বর্ণনা করেছে পাক সরকার।
গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগামে (Pahalgam Attack) জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন ২৬ জন পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তইবার স্থানীয় শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ । ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দফায় দফায় বৈঠক করে কেন্দ্র। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানকে কার্যত কোণঠাসা করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পাকিস্তানিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাতিল করা হয় 'সার্ক' ভিসা। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থগিত করা হয় সিন্ধু জলশক্তি- এটিই সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পাকিস্তানের ঝিলম, চেনাব, রবি, বিয়াস এবং সাতলুজ নদীগুলি সিন্ধু নদের জলের ওপর নির্ভর করে। এই নদীগুলি থেকেই পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল পৌঁছয়। তাই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেওয়ার মানে তার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কৃষিতে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
Advertisement
Advertisement