শেষ আপডেট: 9th November 2024 18:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্কুল-কলেজে কোনও বন্ধু বা গ্রুপের তরফে কর্নার করে দেওয়া, একঘরে করে দেওয়া হয়তো অনেকেই দেখেছে। এই অভিজ্ঞতা কম-বেশি হয়েই থাকে একটা বয়সে। সেই নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগে অসুস্থ হয়েছে, এই ঘটনাও বিরল নয়। তবে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা দেখে অনেকেই তাজ্জব। এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়েও এই সংস্কৃতি রয়েছে! সমালোচনায় বহু মানুষ।
আলেক্সান্ডার রজার্স, বয়স ২০। অক্সফোর্ডের অধীনস্থ কর্পাস খ্রিষ্টি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে আত্মঘাতী হন। মৃত্যুর তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় পুলিশ। জানা যায়, কলেজে একঘরে হয়ে যাওয়ায় দুঃখ পান তিনি। সেই চিন্তা থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত।
ঠিক কী হয়েছিল এই যুবকের সঙ্গে? স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের তরফে জানা যায়, জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখ প্রাক্তনের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন রজার্স। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সঙ্গমে সঙ্গীকে অস্বস্তিতে ফেলার অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন রজার্স। তারপরই চরম সিদ্ধান্ত নেন।
বন্ধুদের এনিয়ে রজার্স জানিয়েছিলেন, তিনি যা করেছেন, তার জন্য দুঃখিত। যা হয়েছে সেটা ইচ্ছাকৃত ছিল না কিন্তু এটাও ঠিক তা ক্ষমার অযোগ্য। তাঁর দেহ এরপর টেমসে পাওয়া যায়।
রজার্সের মৃত্যু প্রশ্ন তুলেছে কলেজের 'ক্যানসেল কালচার' নিয়ে। এই গ্রুপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ভয় বা এই যে আলাদা করে দেওয়ার ভয়। এর বীজ কোথায় লুকিয়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে সকলে। পরিবারের দাবি, রজার্স যে ধরনের মানুষ, তাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা নয়। এই মৃত্যুর পর প্রশ্নের মুখে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষও।
এনিয়ে আইনজীবী নিকোলাস গ্রাহাম বলেন, 'পরিবারের পক্ষে এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন।' তদন্তকারী আধিকারিক ডমিনিক থম্পসন বলেন, 'ক্যানসেল কালচারের জন্যই মৃত্যু।'
এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের নাকের ডগায় যে ক্যানসেল কালচার চলে, সেটা নাকি জানেই না তারা। তবে কলেজের তরফে রিভিউ করা হচ্ছে বিষয়টির। আর কখনও যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। তার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কলেজে ব়্য়াগিংয়ের ঘটনা এই প্রথম নয়। ব়্যাগিংয়ের ফলে প্রাণ গিয়েছে এমন নির্দশনও বহু। কয়েক বছর আগে যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুও ব়্যাগিংয়েরই ফল। এই নিয়ে সচেতনতা চললে, কোথায় পরিবর্তন!