শেষ আপডেট: 8th October 2024 17:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কারের জন্য সোমবার (৭ অক্টোবর) দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রস ও গ্যারি রুভকুনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। তারপর থেকেই চর্চায় রয়েছে মাইক্রোআরএনএ।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ভিক্টর অ্যামব্রস ও গ্যারি রুভকুন ক্ষুদ্র আরএনএ অণুর নতুন একটি শ্রেণি মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার করেছেন। গবেষণায় দেখানো হয়েছে কীভাবে মাইক্রো আরএনএ মানবদেহের বিভিন্ন টিস্যুর জন্ম দেয়।
মাইক্রো আরএনএ কী?
মাইক্রো আরএনএ হল অণুর একটি গোষ্ঠী, প্রতিটি জীবের জিনোমে পাওয়া যায়। এটি শরীরে কোষ গঠন করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এই মাইক্রো আরএনএ ক্যানসার এবং ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক রোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
সহজ ভাষায়, এগুলি ছোট নিয়ন্ত্রক, যা নির্ধারণ করে কোন কোষে কোন প্রোটিন তৈরি হবে। আর কোনটিতে হবে না। যখন মাইক্রো আরএনএ একটি জিনের সঙ্গে মিশে যায়, তখন এটি সেই জিনের প্রোটিন উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। এমনকি কমিয়েও দেয়।
মাইক্রো আরএনএ চিকিৎসা ক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করছে?
মাইক্রো আরএনএ জীবনে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ওষুধের ক্ষেত্রে। তাছাড়াও এটি ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগকে শনাক্ত করতে পারে। এছাড়া এগুলো চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে। শরীরে মাইক্রো আরএনএ ইনজেকশন দিয়ে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এগুলি থেকে অ্যান্টিবড অর্থাৎ ইমিউন সিস্টেমও তৈরি করা যেতে পারে, যাতে ভাল ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
দুই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন
ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং রুভকুন হলেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী, যারা ২০২৪ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পেতে চলেছেন। তাঁদের মধ্যে ভিক্টর অ্যামব্রোস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন। গ্যারি রুভকুন হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। উভয় জেনেটিক বিজ্ঞানীই মাইক্রো আরএনএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালাচ্ছিলেন।
এর আগে ২০২৩ সালে, চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন হাঙ্গেরিয়ান-মার্কিন বায়োকেমিস্ট ক্যাটালিন কারিকো এবং মার্কিন ইমিউনোলজিস্ট ড্রু ওয়েইসম্যান। এমআরএনএ প্রযুক্তি বিষয়ে তাঁদের উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। কোভিড-১৯-এর টিকার বিকাশে এমআরএনএ প্রযুক্তির বিরাট ভূমিকা ছিল।