দ্য ওয়াল ব্যুরো: আশঙ্কাই সত্যি হল। কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সোমবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানালো ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম। 

রবিবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ১২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটির খোঁজ মেলে। গোড়াতেই উদ্ধারকারীরা জানান, হেলিকপ্টারের কোনও যাত্রীর জীবিত থাকার কোনও ইঙ্গিত নেই। এরপরই তাঁর মৃত্যু খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। 

রবিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার। পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় রাইসির সঙ্গেই ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান। রাতভর তল্লাশির পর সোমবার সকালে হেলিকপ্টারটির খোঁজ পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। তবে বাঁচার আশা ক্ষীণ ছিল রাইসি ও বিদেশমন্ত্রীর। হেলিকপ্টারে থাকা সকলের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়। 

সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রইসি যে কপ্টারে ছিলেন তার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কুয়াশা ঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারের ভাঙা অংশ পড়ে রয়েছে। হেলিকপ্টারটির অবস্থা শোচনীয়। পুড়ে ছাই কপ্টার। ধ্বংসস্তূপে কোনও প্রাণের চিহ্ন নেই বলেই ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে। 

রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির দুর্ঘটনার খবরে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। আমি রাইসি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের সুস্থতা কামনা করছি। এই সময় আমরা ইরানের মানুষদের পাশে রয়েছি।’

ইরানের একেবারে উত্তরে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হেলিকপ্টারে যাচ্ছিলেন ইরান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। আইআরএনএ জানিয়েছে, একই হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে ছিলেন দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। খারাপ আবহাওয়ার কারণে হঠাৎই হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেটি ভেঙে পড়েছে কিনা, প্রাথমিকভাবে তা বোঝা যাচ্ছিল না। অবশেষে জানা গেল কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির।