শেষ আপডেট: 9th October 2023 18:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার তাদের দেশে হামাস গোষ্ঠীর লাগাতার রকেট হামলার পর এবার পাল্টা যুদ্ধে নেমেছে ইজরায়েলও। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার গাজা উপত্যকায় 'সম্পূর্ণ অবরোধের' নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই প্যালেস্টাইনে বিমান-হামলা শুরু করে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ, গাজায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, খাবার থেকে শুরু করে কোনও নাগরিক সুবিধাই যেন না থাকে।
সোমবার ইয়োভ গ্যালান্ট গাজার হামাস গোষ্ঠীকে 'পশু' বলে দাবি করে জানিয়েছেন, 'আমরা গাজায় পূর্ণ অবরোধ করছি। সেখানে বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, জল নেই, গ্যাস নেই।' পশুদের সঙ্গে লড়তে গেলে সেভাবেই লড়তে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা লড়াই শুরু করার আগে হামাস সন্ত্রাসীরা সীমান্ত পেরিয়ে গাজার কাছাকাছি এলাকার বিভিন্ন শহরগুলিতে রকেট হামলার পাশাপাশি নির্বিচারে গুলি চালায়। তাতে দক্ষিণ ইজরায়েলে এখনও পর্যন্ত ৭০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, গাজার কাছাকাছি কিবুতজ রিমের কাছে রেকটি সঙ্গীত উৎসব চলছিল। তাতে তরুণ ইজরায়েলি এবং বিদেশিরা অংশগ্রহণে করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে হামাসের বন্দুকধারী হামলা চালায়। তাতে আনুমানিক ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
হামাসের হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার পর গাজা উপত্যকায় অন্তত ৪৯৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, হামাস হল প্যালেস্টাইনের একটি ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী যারা ২০০৭ সাল থেকে গাজা ভূখণ্ড শাসন করেছে। গাজায় প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষের বাস। এটি একটি ৪১ কিলোমিটার কিমি দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত অঞ্চল যা ইজরায়েল, মিশর এবং ভূমধ্যসাগর দ্বারা বেষ্টিত।
গাজার আকাশপথ ও সৈকত নিয়ন্ত্রণ করে ইজরায়েল। জলপথ এবংআকাশ পথে এই ভূখণ্ডে কী কী পণ্য ঢুকতে পারবে, কোন কোন মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন, এই পুরোটাই ঠিক করে ইজরায়েল। আবার ভূখণ্ডের একটি সীমানা মিশরের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় সেখানে সীমান্ত পেরিয়ে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করে মিশর।
জাতিসঙ্ঘ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দা আন্তর্জাতিক ত্রাণসহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকেন। রোজকার খাবার, পানীয়ের বিষয়েও অন্যের উপর নির্ভরশীল তারা। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা বন্ধ করে দিলে কীভাবে সেখানকার সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকবেন সেটাই এখন প্রশ্ন।