শেষ আপডেট: 21st January 2025 23:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ না করায় ঘরোয়া রাজনীতিতে টিপ্পনির মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতো বিজেপি নেতারাও খোলাখুলি টিপ্পনি করছেন মোদীকে।
কিন্তু সেই রাজনীতি পাশে সরিয়ে রাখলে প্রথম দিনই যেটা দেখা গেল, নয়াদিল্লির জন্য তা ইতিবাচক। মার্কিন রাষ্ট্রপতি পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় বার শপথের পর নতুন প্রশাসনের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে।
জয়শঙ্কর বর্তমানে মার্কিন সরকারের আমন্ত্রণে ওয়াশিংটনে রয়েছেন। তিনি সদ্য শপথ নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতেই বসেছিলেন। তার পরই মঙ্গলবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও স্টেট ডিপার্টমেন্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন।"
প্রথম বৈঠকের তাৎপর্য
বিশ্বের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বকারী দুই শীর্ষ কূটনীতিকের এই বৈঠক স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফগি বটম সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হবে। এটি কোয়াড মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকের পরপরই হবে।
কোয়াড, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত এই গোষ্ঠী ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে শুরু হয়। বাইডেন প্রশাসন এটি আরও উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করে।
মার্কো রুবিওর কোয়াড মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক দিয়ে তাঁর বিদেশমন্ত্রিত্বের ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। যা তাৎপর্যপূর্ণ। এটি ঐতিহ্যগতভাবে কানাডা বা মেক্সিকোর মতো প্রতিবেশী দেশ অথবা ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে শুরু হওয়ার কথা।
মার্কো রুবিও, ফ্লোরিডা থেকে সাবেক মার্কিন সেনেটর। চিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য পরিচিত রুবিও মার্কিন ইতিহাসে প্রথম লাতিনো বিদেশ সচিব তথা বিদেশ মন্ত্রী। ২০২০ সালে চিন তাঁকে নিষিদ্ধ করেছিল। তার আগেও একবার তিনি চিনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন। রুবিওর এই অতীতও নয়াদিল্লির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করতে ইতিবাচক হয়ে উঠতে পারে।