লেবাননে হিজবুল্লা-প্রধান নাসরাল্লার মৃত্যুতে আতঙ্কের ঘণ্টা বেজেছে ইরানেও
শেষ আপডেট: 29th September 2024 18:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লেবাননে হিজবুল্লা-প্রধান নাসরাল্লার মৃত্যুতে আতঙ্কের ঘণ্টা বেজেছে ইরানেও। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খামেইনিকে ইতিমধ্যেই নিরাপদে 'লুকিয়ে রাখা' হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানের আয়াতোল্লা সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, যারা ইজরায়েলকে টার্গেট করেছে, তাদের চরম পরিণতি হবে। তিনি স্পষ্টতই ইরানকে হুমকি দিয়েছেন।
নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লার হত্যাকাণ্ডকে একটি 'ঐতিহাসিক মোড়' হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, যে এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন হতে পারে। তিনি সামনের চ্যালেঞ্জিং দিন সম্পর্কে ইজরায়েলের বাহিনীকে সতর্ক করেছেন।
সূত্রের খবর, লেবানন সীমান্তে শয়ে শয়ে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করে রেখেছে ইজরায়েল। সম্ভাব্য পাল্টা 'প্রতিশোধে'র আশঙ্কায় ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীকেও চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে। স্থল অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে তাদের। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
নেতানিয়াহু হুমকির সুরে বলেন, 'ইরান হোক বা মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনও দেশ, ইজরায়েলের নাগালেই রয়েছে সবাই। এটা যে কতবড় সত্যি, তা হিজবুল্লা-প্রধানকে মারার পর আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। আমি আয়াতোল্লার সরকারকে সরাসরি বলছি, আমাদের যে মারবে, আমরাও তাদের মেরে শেষ করব।'
ইজরায়েলের এই আগ্রাসন নিয়ে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘে জরুরি বৈঠকের প্রস্তাব রেখেছে ইরান। সেই সঙ্গে ইরানের কূটনীতিক ও প্রতিনিধিদের উপর যে কোনও হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের এক কর্তা এই কথা জানিয়ে বলেছেন, ইজরায়েল যেভাবে শত্রু দমনে নেমেছে, তাতে পরের লক্ষ্য যে খামেইনি, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
কারণ, আরব দুনিয়ায় ইজরায়েলের কঠোর শত্রু হিসেবে পরিচিত প্যালেস্তাইনি সংগঠন হামাস এবং লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার পেছনে স্পষ্ট মদত রয়েছে ইরানের।
হাসান নাসরাল্লাকে ইরায়েল খতম করার পরপরই পরমাণু শক্তিধর ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা খামেইনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাকে আঘাত করলেও দুর্বল হবে না মুসলিম প্রতিরোধ বাহিনী।
মনে করা হচ্ছে, আরব দুনিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে তেহরানের শাসকরা। সেই সাপ্লাই লাইন বন্ধ করতেই টার্গেট করা হচ্ছে খামেইনিকে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত লেবাননের দক্ষিণ বেইরুটে হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে টানা হামলা চালিয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্যই ছিল হিজবুল্লা প্রধান ও শীর্ষনেতাদের খতম করা। আর এর পরের সম্ভাব্য টার্গেট খামেইনি।