শেষ আপডেট: 5th August 2024 14:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁরা আদৌ ফিরতে পারবেন? ফিরতে পারলে সেটা কবে? মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোরকে নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। কারণ এখনও পর্যন্ত নাসা নির্দিষ্ট করে বলতেই পারছে না যে তাঁদের কবে ফেরাতে পারবে তাঁরা। নাসা শুধু জানাচ্ছে, প্রতিনিয়ত তাঁরা নতুন কিছু পরীক্ষা করছে সুনীতাদের পৃথিবীতে ল্যান্ড করানো নিয়ে।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে রয়েছেন সুনীতা এবং বুচ। যে বোয়িং স্টারলাইনার রকেটে চেপে মহাকাশে গেছিলেন তারা তাতে ত্রুটি দেখা গেছে। তাই এখনও পর্যন্ত তাঁরা পৃথিবীতের ফিরতে পারছেন না। এই ঘটনায় নাসার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে যে, ত্রুটির বিষয়টি আগে আন্দাজ করা সত্ত্বেও তাঁরা বিশেষ পাত্তা দেয়নি। নাসা অবশ্য এইসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। উল্টে তাঁরা জানিয়েছে, সুনীতাদের কীভাবে ফেরানো যেতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যে ১ লক্ষেরও বেশি মডেল-টেস্ট করেছে তাঁরা। কম্পিউটারে সিম্যুলেশন করে দেখা হচ্ছে কেমন করে তাঁদের ফেরানো সম্ভব।
মাত্র ৯-১০ দিনের একটি প্রজেক্টের জন্য মহাকাশে যাওয়া সুনীতারা এতদিন সেখানেই 'ফেঁসে' আছেন। সবথেকে বড় চিন্তার বিষয়, স্টারলাইনার ক্যাপস্যুল সর্বাধিক ৯০ দিন পর্যন্ত স্পেস স্টেশনে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে নাসা। তার পরে শেষ হয়ে যাবে তার ব্যাটারি। ইতিমধ্যেই সেখানে সুনীতাদের ৫০ দিনের হয়ে গেছে। এই অবস্থায় মহাকাশচারীদের শরীর খারাপ হতে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। দুজনের পেশি শিথিল হয়ে যাচ্ছে, হাড়ের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। যদিও নাসা জানিয়েছে, এই ধরনের সমস্যা হওয়া মহাকাশচারীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যাপার। তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
যে বোয়িং স্টারলাইনার রকেটে চেপে মহাকাশে গেছেন সুনীতা এবং ব্যারি তাতে একটি নয়, অন্তত চার জায়গা থেকে হিলিয়াম গ্যাস লিক করেছিল। এই রকেটের নকশা তৈরির পিছনে নাসারও হাত রয়েছে। তাই তাঁরা কেন এই গ্যাস লিকের বিষয়টি নিয়ে সচেতন হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত, এটিই ছিল বোয়িং-এর প্রথম মহাকাশচারী নিয়ে যাত্রা। তাছাড়া, সাধারণ মানুষ যাতে বেসরকারি উদ্যোগে বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশে বেড়াতে যেতে পারে, সেই পরিকল্পনারও প্রথম ধাপ এই বোয়িং।