শেষ আপডেট: 4th December 2024 13:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিয়ে করে সুদূর আমেরিকায় নিয়ে নিয়ে গেছিলেন নেপালের তরুণীকে। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান স্ত্রী। তারপর থেকে খোঁজ মেলেনি ২৮ বছর বয়সি মমতা কাফলে ভাটের।
পরে আদালতে সেই মামলা গড়ালে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা নরেশ ভাটকে। সেই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজের বউকে মেরে দেহ লোপাট করে দিয়েছে বছর ৩৩-এর ওই যুবক। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তর ফোন ঘেঁটে হাতে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য। বউয়ের মৃত্যুর কতদিনের মধ্যে বিয়ে করা যায়? এমনটাই গুগলে সার্চ করে সে। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছে না মমতার।
জানা গেছে শুধু সার্চ করেই ক্ষান্ত থাকেনি অভিযুক্ত। স্থানীয় দোকান থেকে এরপর মারার জন্য যা যা প্রয়োজন এমন কিছু সামগ্রী কেনে নরেশ। ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখলে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওয়ালমার্টের শোরুম থেকে তিনটে ছুরি কেনে সে। এরপর তা দিয়ে নিজের স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করে।
এরপর নিজেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার গল্প শোনায় সে। জানায় ২৯ জুলাইয়ের পর থেকে মমতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আদালতে মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই হাতে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। প্রথমে বিষয়টি আঁচ করতে না পারলেও পরে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন মমতার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে আর কেউ নয় প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে তাঁর স্বামীর।
এরপর গত ২২ অগস্ট নরেশের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। ঘরে নতুন ছুরি ও বেশ কিছু জায়গায় রক্তের ছাপ দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। তারপরই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। বর্তমানে জামিন না পেয়ে জেল হেফাজতই ঠিকানা নরেশের।