শেষ আপডেট: 10th January 2024 14:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে হাতে পেতে আবেদন জানিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের তরফে সেই নিয়ে কোনও সাড়া মেলেনি। আর এরই মাঝে জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজকে নিয়ে সামনে এসেছে নয়া তথ্য। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের জেলে সাজা কাটছেন হাফিজ সইদ। ৭৮ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
২০০৮ সালে হাফিজ সইদকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ হিসাবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। বহু বছর ধরে হাফিজ সইদকে খুঁজছে ভারতের গোয়েন্দারা। কোথাও তাঁর হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও পরে জানা গিয়েছিল, পড়শি দেশ পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। কিন্তু পাকিস্তান তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন ফিরিয়ে দেয়। সাতটি সন্ত্রাসমূলক হামলায় আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হয়ে হাফিজ পাকিস্তানে জেল ঘাটছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
মুম্বই হামলার পর থেকেই ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকাতে রয়েছে লস্কর–ই–তৈবার প্রতিষ্ঠাতা। হাফিজের মাথার দাম এক কোটি ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। শোনা যাচ্ছিল, পাকিস্তানে রাজনৈতিক দল গড়ে দেশের সাধারণ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানে জেলে বন্দি দশায় রয়েছেন হাফিজ সইদ। সন্ত্রাসমূলক ৭টি মামলায় আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগেই ৭৮ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে হাফিজকে হাতে পেতে ফের পাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদন জানায় ভারত। এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি ইসলামাবাদের তরফে। পাকিস্তানের দাবি ছিল, হাফিজ সইদকে ফেরানোর ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাছাড়া ভারতের সঙ্গে বন্দি প্রত্যার্পণের কোনও চুক্তিও করা হয়নি।
অন্যদিকে, গত মাসেই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় কিছু সংশোধন এনেছে। যেখানে দেখা যায় যে, লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা তথা হাফিজের ডেপুটি হাফিজ আব্দুল সালাম ভুট্টাভি মারা গিয়েছেন। হাফিজের মতো ভুট্টাভির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালানোর জঙ্গিদের তিনিই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।