শেষ আপডেট: 23rd October 2024 09:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাশিয়ার কাজান শহরে চলমান ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের কথা থাকলেও তা এখনও হয়নি। কিন্তু সম্মেলন উপলক্ষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া নৈশভোজে তিন রাষ্ট্রপ্রধানের হাসিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পাশাপাশি বসে খাওয়ার ছবি কূটনৈতিক মহলে তুমুল চর্চার বিষয় হয়েছে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ব্রিকসের নৈশভোজে এমন ছবি নয়া মাত্রা পাওয়ার কারণ, এই গোষ্ঠীর বিগত সম্মেলনগুলিতে সৌহার্দ্যের এই দৃশ্য চোখে পড়েনি। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারে বসার মুখে মোদী ও শি’র মুখোমুখি হয়ে সৌজন্যের হাসি বিনিয়ম করেছিলেন। তা নিয়েও বেজিং যথেষ্ট জলঘোলা করে। চিনের সরকারি মুখপাত্র দাবি করে বসেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে এলে শি সৌজন্য বিনিময় করেছেন মাত্র। এটাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
রাশিয়ায় দেখা গেল এক ফ্রেমে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, মোদী, পুতিন ও শি। পাশেই দাঁড়িয়ে তিন দেশের দো-ভাষীরা। পরে নৈশভোজের টেবিলে সম্মেলনের আয়োজন দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের দু-পাশে বসেন মোদী ও শি। খেতে খেতে কথা হয় তিনজনের। মোদী ও শি’র মধ্যে এমন সময় কথা হল যখন লাদাখ এবং অন্যত্র সীমান্তে সেনা টহলে দু-দেশ একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছেছে।
রাশিয়া ও চিনের মধ্যে গভীর সম্পর্কেরও বার্তা তুলে ধরেছে আলোচ্য ফ্রেম। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই পুতিনের দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক নয়া উচ্চতায় পৌঁছায়। যা নিয়ে চিন্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের কর্তারা মোদীর রাশিয়া প্রীতিকেও ভালভাবে নিচ্ছে না। সেই বার্তা জোরালো করতেই মাস দুই আগে মোদীর ইউক্রেন সফরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
দু-দেশের কূটনীতিকদের আলোচনাতেও আমেরিকা বারে বারেই আভাস দিয়েছে ভারত-রুশ সম্পর্ককে তাঁরা ভাল ভাবে নিচ্ছে না। এখন মোদী ও শি’র কাছাকাছি আসা নিয়ে মার্কিন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। আর দিন কয়েক পর আমেরিকায় ভোট। বাইডেন আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকছেন না। তাঁর বিদায়ী সরকার এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।