শেষ আপডেট: 19th December 2023 12:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছুটছিল ঢাকার দিকে। ভোর রাত, ট্রেনের মধ্যে সকলেই তখন প্রায় ঘুমে আচ্ছন্ন। ট্রেনটি যখন বিমানবন্দর স্টেশন পার করেছে, তখন যাত্রীরা দেখতে পান তিনটি বগি জ্বলছে দাউদাউ করে! ভয়ে, উত্তেজনায় চিৎকার শুরু করে দেন যাত্রীরা।
ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় তেজগাঁও স্টেশনে। একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
সামনেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে ওপার বাংলা। কখনও বাসে, কখনও গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে। এবার ট্রেনেই আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। বাংলাদেশের শাসক দলের অভিযোগ, গত মাস দেড়েক ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। তাদের দোসর ইসলামপন্থীদল জামাত। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩৭৭টি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনা রুখতে তৎপর সরকার।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বনধ ঢেকেছিল বিএনপি-জামাত। সেই বনধকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের বিভিন্ন জায়গা। বিক্ষোভ-মিছিল, পিকেটিং চলছে। সরকারও বনধ আটকাতে তৎপর।
মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন নাদিরা আক্তার পপি নামে এক মহিলা। তাঁর তিন বছরের ছেলে ইয়াসিনও অগ্নিকাণ্ডে বলি হয়েছে। আরও দু'জন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। যদিও তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আরও কারও মৃত্যু হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেকেই দাবি করছেন, তাঁরা তাঁদের আত্মীয়দের খুঁজে পাচ্ছেন না।