শেষ আপডেট: 6th April 2024 16:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খারাপ সময় কাটিয়ে উঠে ফের নিজের প্রথম স্থানটি দখল করেছেন ইলন মাস্ক। ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্টের সঙ্গে লড়াইয়ে কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে পড়েছিলেন টুইটার কর্তা। কিন্তু পরিশ্রম করে আবার সামনে এগিয়ে এলেন তিনি। বিশ্বের এক নম্বর ধনী ব্যক্তির স্থানটি দখলে রাখলেন নিজের। উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে মাস্কের। ফেসবুক কর্তা মার্ক জাকারবার্গকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছেল টেসলা কর্তা। দু’জনের কেজ ফাইটও বেশ চ্যালেঞ্জের। কিন্তু ২০২০ সালেই মাস্ককে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন মার্ক জুকারবার্গ।
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, লুই ভিত্তোঁর শেয়ারের দাম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্নার্ড আর্নল্ডকে টপকে প্রথম হলেন টেসলা সংস্থার মালিক ইলন মাস্ক। বস্তুত, ধনীতমর শিরোপা কার হবে তাই নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয় বার্নার্ড আর্নল্ড ও ইলন মাস্কের মধ্যে। কিছুদিন আগে টেসলার শেয়ারের পতন হওয়ায়, দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছিলেন মাস্ক। তাঁকে হারিয়ে প্রথম স্থানে ছিলেন বার্নার্ড আর্নল্ড। তবে প্রথম স্থান বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি বার্নার্ড। প্যারিস ট্রেডিংয়ে এলভিএমএউইচ-র শেয়ারের দরে ২.৬ শতাংশ পতন হওয়ায়, ফের এক নম্বরে চলে এসেছেন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১৯২ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ১৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।
মার্ক জাকারবার্গ ২০১০ সালে ছিলেন বিশ্বের কনিষ্ঠতম বিলিয়নেয়ার। বিশ্ব ধনকুবের-তালিকায় তিনি যুগ্ম ভাবে ছিলেন ২১ নম্বর স্থানে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল চারশো কোটি ডলার। বিগত দশকে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবসায়িক-গ্রাফ নীচে নামলেও ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা এখনও বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় প্রথম সারিতেই আছেন।
২০২০ সালে মাস্কের সম্পত্তির বহর কিঞ্চিৎ কমেছিল। সেই সময় তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪৮.৪ বিলিয়ন ডলার। মার্ক জুকারবার্গের সম্পত্তি তখন ছিল ৫৮.৯ বিলিয়ন ডলার। সেই প্রথমবার বিশ্বের প্রথম তিন ধনী ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছিলেন মেটা কর্তা।
২০২২ সালে টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছিল। টেসলার শেয়ার দর একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। টুইটারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরেও শীর্ষস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে চলতি বছর টেসলার শেয়ার দর হঠাৎ বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আর তাতেই হারানো সিংহাসন ফিরে পেয়েছেন মাস্ক।