শেষ আপডেট: 3rd October 2024 12:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইজরায়েল নিজেদের অজান্তেই অশান্তিকে বেছে নিয়েছে। কারণ যুদ্ধ থামানোর প্রস্তাব নিয়ে নাসরাল্লা এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তার আগেই ইজরায়েলি সেনা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এমনটাই দাবি করেছেন লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহ রশিদ বাউ হাবিব।
মন্ত্রীর এই মন্তব্যে ইজরায়েল-ইরান সম্মুখ সমরে নতুন উত্তেজনার পারদ চড়েছে! বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে তিনি বলেন, 'লেবাননে হামলা শুরু হওয়ার পরই রাষ্ট্রসংঘে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আমরা তা মেনেও নিয়েছিলাম। হিজবুল্লার সঙ্গে আলোচনা করে লেবানন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করতে চেয়েছিল। হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লাও শান্তির জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং ২১ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন। কিন্তু সেই প্রস্তাব দেওয়ার আগেই ইজরায়েলি সেনার হামলায় তাঁর মৃত্যু ঘটে।'
গত সপ্তাহে ইজরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লা। তাঁর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে তেহরান ইজরায়েলে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়। তারপরই তেল আভিভ ইরানকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কতা দেয়।
এরই মধ্যে আবার ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান। পরপর মিসাইল হামলায় সে দেশের একাধিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এয়ারড্রোম থাকার কারণে বেশি ক্ষতি হয়নি ইজরায়েলের। যদিও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইরান যে ভুল করেছে তার মাশুল দিতে হবে। সময় মতো মূল্য চোকাবে তারা।
গত জুলাই মাস থেকে ইজরায়েল ও হিজবুল্লার মধ্যে সংঘাত ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠেছে। গত মাসে ইজরায়েলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন। সেখানে ১২ জনের মৃত্যু হয়। তারপরেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ইজরায়েল লেবাননে আক্রমণের তীব্রতা বাড়াতে থাকে।
২৮ সেপ্টেম্বর, ইজরায়েলি সেনার একটি অভিযানে মৃত্যু হয় হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লার। হামলার সময় তিনি বেইরুটের দক্ষিণে দহিয়ার একটি বহুতলের নীচে তৈরি বাঙ্কারে ছিলেন। সেখানেই হিজবুল্লার শীর্ষনেতাদের সঙ্গে চলছিল আলোচনা। ইজরায়েলি সেনা সেই বাঙ্কারটিকে তাক করে বহুতলের উপর একের পর এক বোমাবর্ষণ শুরু করে।
তবে এতদিন ধরে হিজবুল্লা বা ইজরায়েলের কেউই একে অপরের দেশের সীমান্ত অতিক্রম করেনি। কিন্তু শেষ কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। হিজবুল্লা কীভাবে দক্ষিণ লেবাননকে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার বানিয়ে রেখেছে তার ভিডিও সামনে আনে ইজরায়েল। বলা হয়, এই জায়গা ধ্বংস না করতে পারলে নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষা তাঁরা দিতে পারবে না। এরপরই লেবাননে ঢুকতে শুরু করে ইজরায়েল জওয়ানরা।