টেমসের বুকে ভাসবেন মা দুর্গা।
শেষ আপডেট: 12th October 2024 20:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নদীর বুকে মা দুর্গার কার্নিভাল! সঙ্গে সারিসারি ঢাকিদের বাদ্য। সকলে দু'চোখ ভরে উপভোগ করছেন মায়ের জলযাত্রা। প্রবাসী বাঙালিদের কাছে বিজয়া দশমীর আনন্দ এর ভাল আর কী ভাবে হতে পারে! কিন্তু কলকাতার রেড রোডের গ্র্যান্ড দুর্গা কার্নিভালের মতো এমনই সুন্দর যাত্রা কি বিলেতেও সম্ভব!
নিশ্চয় সম্ভব। সৌজন্যে লালবাবা রাইস। তাদেরই উদ্যোগে কলকাতার ধাঁচেই এবার লন্ডনও দেখবে দুর্গা বিসর্জনের কার্নিভাল। মা দুর্গাকে নিয়ে টেমসের বুকে ঘুরবে সুসজ্জিত বোট। ওয়াটারলু ব্রিজ, লন্ডন ব্রিজ থেকে তা দেখবেন হাজার হাজার মানুষ। টেমস নদীতে এমনই দুর্গা প্যারেড হতে চলেছে চলতি মাসেই। পুরো অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়েছে সেখানে থাকা বিভিন্ন সংস্থা।
আপাতদৃষ্টিতে এটিকে বিসর্জন প্যারেড বললেও আদতে অবশ্য বিসর্জন নয়। এর পিছনে যদিও একটা কারণ আছে। বিলেতে পুজোর উদ্যোক্তারা ফি বছর প্রতিমা ভাসিয়ে দেওয়ার বিলাসিতা দেখান না। তা রেখে দেন পরের বছর পুজোর জন্য। তাই ঠিক এটাকে দুর্গা বিসর্জনের কার্নিভাল বলা যাবে না।
কলকাতার দুর্গাপুজোকে গ্লোবাল ট্যুরিজম গন্তব্য হিসেবে প্রচার করার জন্য হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবাল এই উদ্যোগটি নিয়েছে ২০২২ থেকে। লালবাবা রাইস টেমস দুর্গা প্যারেড নামে এই অনুষ্ঠানে আসলে বিসর্জন হবে প্রতীকী। লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় নয় নয় করে প্রায় শ’খানেক পুজো হয়। সেখানে প্রচুর প্রবাসী বাঙালির বসবাস। যেখানে প্যারেডটা হবে, সেই জায়গাকে মিনি কলকাতা বলাই চলে । যেখানে সকলে দুর্গাপুজোর সময় উৎসবে মেতে ওঠেন।
এই প্যারেডে সামিল হবেন লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে পাঠরত বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীরা। দুর্গা প্রতিমাকে একটি বোটে রাখা হবে। তার পাশাপাশি লন্ডন রোয়িং ক্লাবের দু'টি বোট মা দুর্গাকে নিয়ে ভ্রমণ করবে টেমস নদীর বুকে। এই প্যারেড হতে চলেছে ২৬ অক্টোবর।
এই অনুষ্ঠানে মধ্য লন্ডনে টেমস নদীর উপর যত ব্রিজ আছে তার নীচ দিয়ে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়, উদ্দেশ্য একটাই যাতে নদীর পাড়ে থাকা সবার এবং ব্রিজে থাকা সমস্ত মানুষদের নজর কাড়া যায়। মূল উদ্দেশ্য, লন্ডনে দুর্গাপুজোর প্রচার করা, বাঙালির অস্তিত্বকে জানান দেওয়া। এটার কারণে সেখানকার মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি হবে, বিষয়টা নিয়ে তাঁরা আরও জানতে চাইবেন সকলে। এভাবেই প্রচার হবে দুর্গাপুজোর। আসলে মা দুর্গা তো বিশ্বজনীন, সর্বজনীন। সে গঙ্গাপাড়ের কলকাতা হোক আর বহমান টেমসের তীরে লন্ডন হোক। বাংলার প্রাণের উৎসবের আঁচ পাচ্ছে বিশ্ববাসী।