নরেন্দ্র মোদী ও জাস্টিন ট্রুডো
শেষ আপডেট: 18 October 2024 11:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের সঙ্গে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে নেমে এবার দেশেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে কানাডার ভারতীয় দূতাবাস যুক্ত অভিযোগ করে ভারতের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করেছে ট্রুডো সরকার।
সে দেশের প্রধান বিরোধী দল পিপলস পার্টি অফ কানাডার শীর্ষ নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার অভিযোগ করেছেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নিজ্জরের মতো একজন উগ্রপন্থীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে হইচই করছেন। নিজ্জরকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে বার্নিয়ার এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, ‘এটা একটা প্রচার যে হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডার নাগরিক। সে মোটেই তা ছিল না। দুর্ভাগ্যবশত জাল নথির সাহায্যে ২০০৭-এ সে কানাডার নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। বিরোধী দলনেতার দাবি, নিজ্জর খুন হয়ে থাকলেও দৃষ্টান্ত হিসাবে সরকারের উচিত সরকারিভাবে তাঁর নাগরিকত্ব ফিরিয়ে নেওয়া। কারণ লোকটা অন্যায়ভাবে আমাদের দেশের নাগরিকত্ব আদায় করেছিল।’
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের বাসিন্দা নিজ্জর গত বছর জুন মাসে সেখানকার একটি গুরুদ্বারের সামনে নিহত হয়। সে বছর সেপ্টেম্বরে কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো দাবি করেন, নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় এজেন্টের হাত আছে। সেই থেকে দু-দেশের মধ্যে কূটনৈতির বিবাদ চলছে। সম্প্রতি সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার জোগার হয় ট্রুডোর প্রশাসন সরাসরি রাজধানী অটোয়ায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের দিকে আঙুল তোলায়। জবাবে ভারত হাই কমিশনার সহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিকে দেশে ফিরিয়ে আনছে। সেই সঙ্গে কানাডার ছয় কূটনীতিককে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ জারি হয়েছে ভারত সরকার।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যখন তলানিতে পৌঁছেছে তখন ট্রুডোকে একহাত নিয়েছেন তারই দেশের প্রধান দলের নেতা। ভারতের সুরে ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেছেন, নিজ্জরের মতো একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদীর কানাডার নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়াটাই দুর্ভাগ্যের। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সররার কানাডায় বসবাসকারী যে সব খলিস্তানি উগ্রপন্থী সম্পর্কে কানাডাকে তথ্য দিয়ে তাদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে সেই তালিকায় নিজ্জরের নাম ছিল।
নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টের হাত থাকার অভিযোগ করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই খুন দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে দেশের মাটিতে বিদেশিরা আমাদের একজন নাগরিককে হত্যা করায়। অন্যদিকে, বিরোধী নেতা ম্যাক্সিমের বক্তব্য, ট্রুডো রাজনৈতিক স্বার্থে দেশের ভূখণ্ড বিদেশি সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহার করতে দিচ্ছেন। এদের এখনই দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত।