শেষ আপডেট: 1st October 2024 12:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিগত কয়েকদিন ধরে লেবাননে টানা এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। ধ্বংস করেছে একাধিক হিজবুল্লা ঘাঁটি। এই গোষ্ঠীর প্রধান সহ আরও অনেক শীর্ষ নেতাকেও তাঁরা নিকেশ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এবার আর এয়ারস্ট্রাইক নয়, লেবানেন ঢুকে হিজবুল্লা ঘাঁটি ধ্বংস করতে শুরু করল ইজরায়েল সেনাবাহিনী।
হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে মারার পর মনে করা হয়েছিল আইডিএফ কিছুটা শান্ত হবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। বরং হামলার ঝাঁজ আরও বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আক্রমণ বন্ধ রাখার প্রস্তাব এসেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ফোন করে শান্তির বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কারও কথারই যে আপাতত গুরুত্ব দেননি ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সেটা আরও স্পষ্ট হল যখন আইডিএফ লেবাননে ঢুকে অভিযান শুরু করল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইজরায়েল সেনার তরফে জানানো হয়েছে, লেবাননের দক্ষিণ প্রান্তে তাঁরা অভিযান শুরু করেছে। কারণ ওই এলাকা উত্তর ইজরায়েলের জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ইজরায়েল আগেই দাবি করেছিল, দক্ষিণ লেবাননের এই অংশেই ঘাঁটি রয়েছে হিজবুল্লার। সাধারণ মানুষের বাড়িগুলিকেই তাঁরা অস্ত্রভাণ্ডার বানিয়ে রেখেছে। তাই এবার সেখানেই হামলা চালাচ্ছে তাঁরা।
In accordance with the decision of the political echelon, a few hours ago, the IDF began limited, localized, and targeted ground raids based on precise intelligence against Hezbollah terrorist targets and infrastructure in southern Lebanon. These targets are located in villages…
— Israel Defense Forces (@IDF) September 30, 2024
আইডিএফ-এর দাবি, সাধারণ মানুষের আবাসনগুলিকে তো হিজবুল্লা নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিণত করে রেখেছেই, পাশাপাশি বহু সুড়ঙ্গ করে মাটির তলায় তাদের বাঙ্কার করা আছে। ঠিক যেমন গাজা প্রদেশে হামাসের বাঙ্কারের খোঁজ মিলেছিল। লেবাননের নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় ঢুকে সেই ঘাঁটিগুলিই ধ্বংস করার চেষ্টা করছে ইজরায়েল সেনা।
সম্প্রতি এটাও জানা গেছে, হিজবুল্লা প্রধান মাটির নিচে প্রায় ৬০ ফুট গভীরে গোপন দফতরে থাকত। সেখানেই বিমান হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ইজরায়েল। বাঙ্কার ধবংস করতে ৮২ টন ওজনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ধরনের আরও বেশ কয়েকটি বাঙ্কারের খোঁজ পেয়েছে আইডিএফ।