শেষ আপডেট: 5th December 2024 11:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাইরে থেকে আসছে মহিলার চিৎকার, বাচ্চার কান্নার শব্দ। তা শুনে গাজার আশ্রয় শিবিরে থাকা অনেকেই ভেবেছেন কারও সাহায্য চাই। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে এসেই গুলি খেয়ে মরতে হচ্ছে! কারণ ওটা ইজরায়েলের ছক। ড্রোনের মাধ্যমে এমন আওয়াজ বের করে প্যালেস্তিনীয়দের খুন করছে আইডিএফ বলে অভিযোগ।
আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক রিপোর্ট এটাই দাবি করেছে। তাঁরা বলেছে, ‘কোয়াডকপ্টার’ নামের একটি ড্রোনে লাউডস্পিকার লাগিয়ে গাজায় ঘোরাচ্ছে ইজরায়েল সেনা। তা থেকে বের করা হচ্ছে মহিলার চিৎকার, বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। শুনে মনে হবে সত্যিই কেউ সাহায্য চাইছে বা বাইরে আহত হয়ে যাওয়া কোনও শিশু মরতে বসেছে। তাই তাদের সাহায্য করার জন্য আশ্রয় শিবির থেকে যারাই বেরোচ্ছে, তাদেরই গুলি করে মারছে ইজরায়েল সেনা।
গাজার এক মানবাধিকার কর্মী এমনই দাবি করেন ওই সংবাদমাধ্যমে। তাঁর কথায়, ইজরায়েল-হামাস দীর্ঘ সংঘাতের কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের অনেকেই ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। কিন্তু ইজরায়েল সেনার ভয়ে কেউই আশ্রয়স্থল থেকে বেরচ্ছেন না খুব বেশি। তাই তাঁদের বাইরে আনতেই এই কৌশল নিয়েছে ইজরায়েল সেনাবাহিনী।
গাজার প্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তেই এই ড্রোন ঘোরানো হচ্ছে। কখনও মহিলার কন্ঠস্বরে 'বাঁচাও' শব্দ শুনিয়েছে আইডিএফ, আবার কখনও বাচ্চার কান্নার আওয়াজ বের করছে। শব্দ শুনে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসছেন। তারপরই হয় তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে, অথবা তাঁরা আহত হচ্ছেন। ড্রোনের মাধ্যমেই তাঁদের ওপর হামলা করা হচ্ছে।
ইজরায়েল-হামাসের সংঘাত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাই উদ্বেগ এখনও কমেনি। তবে এই অবস্থায় আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরাট হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন গাজার হামাস গোষ্ঠীকে। স্পষ্ট বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে যদি হামাস গাজার বন্দিদের না ছাড়ে তাহলে অন্যরকম পদক্ষেপ নেবেন তিনি। ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারির মধ্যে যদি হামাস গাজার বন্দিদের না ছেড়ে দেয় তাহলে যারা এই অমানবিক পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে তাদের জীবন নরক বানিয়ে দেওয়া হবে!
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথমে হামাস আক্রমণ করে ইজরায়েলকে। তারপর থেকেই রক্তের খেলা চলছে। এখনও পর্যন্ত পাল্টা ইজরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি।