আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই তাঁকে খুন করতে চায় তেহরান! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প
শেষ আপডেট: 16 June 2025 06:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই তাঁকে খুন করতে চায় তেহরান! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)।
রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, “ইরান (Iran) এখন ট্রাম্পকেই এক নম্বর শত্রু মনে করে। তাই তাঁকে নিজেদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চায়।” নেতানিয়াহুর বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কোনও রকম দর কষাকষিতে যাননি। নরম মনোভাব দেখাননি। তাই পারমাণবিক চুক্তির ইস্যুতে ইরান ট্রাম্পকেই 'পয়লা নম্বর শত্রু' (Number One Enemy) মনে করে।
তেহরানের বিরুদ্ধে এই ধরনের কড়া অবস্থান নেওয়ার ফলেই, ইরান এখন ট্রাম্পকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতে চায় বলে দাবি ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রীর। তবে শুধু ট্রাম্প নন, নিজেও ইরানের নিশানায় রয়েছেন বলেও দাবি করেছেন নেতানিয়াহু। বলেন, ইতিমধ্যে তাঁর বাড়ির শোওয়ার ঘরের জানলা লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের পরমাণু প্রকল্প রুখতে তাঁকেও ‘ট্রাম্পের জুনিয়র পার্টনার’ হিসেবেই কাজ করতে হচ্ছে।
নেতানিয়াহুর দাবি, ইজরায়েলের উপর পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা অত্যন্ত ঘনিয়ে এসেছে। এখন আর চুপ করে বসে থাকার সময় নেই। পদক্ষেপ করতেই হবে।” তবে সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের দুই আধিকারিক দাবি করেছিলেন যে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেইকে হত্যার ছক কষেছিল ইজরায়েল। কিন্তু তাতে আপত্তি জানিয়েছেন খোদ ট্রাম্প। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এরপরই ইরানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নেতানিয়াহু। অনেকেই মনে করছেন, আমেরিকার কাছে ইরানের 'প্রকৃত চরিত্র' তুলে ধরতে চাইছে ইজরায়েল।
ইরান-ইজরায়েল সংঘাত আপাতত খুব সঙ্কটজনক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। টানা তিনদিন ধরে পরপর মিসাইল হানা চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত একাধিক জায়গায় চলেছে আকাশপথে হামলা। আন্তর্জাতিক স্তরে যুদ্ধবিরতির আবেদন উপেক্ষা করেই রণংদেহি মেজাজে দুই দেশ।
ইরান অভিযোগ করেছে, ইজরায়েল তাদের একাধিক তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে এবং ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ কাজেমি-সহ আরও দুই শীর্ষ জেনারেলকে হত্যা করেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।
অন্যদিকে, ইজরায়েল দাবি করেছে, শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত ইরান থেকে ২৭০টিরও বেশি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি মিসাইল তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে দেশের ভিতরে আঘাত হেনেছে। এসব হামলায় এপর্যন্ত ইজরায়েলে ১৪ জন নিহত এবং অন্তত ৩৯০ জন জখম হয়েছেন বলে জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা।