প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 27 November 2024 07:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শান্তিচুক্তিতে অবশেষে সহমত পোষণ করল ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা এবং ইজরায়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই পক্ষ। বুধবার ভারতীয় সময় ভোর ৪টে থেকেই এই চুক্তি কার্যকর হয়েছে।
আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তাঁদের আশা এই শান্তিচুক্তি দীর্ঘমেয়াদি হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দুই দেশেই শান্তি ফিরে আসবে বলে আশাবাদী তিনি। বাইডেন এও জানিয়েছেন, ইজরায়েল ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। পাশাপাশি দক্ষিণ লেবাননে সে দেশের বাহিনী অন্তত ৫ হাজার জওয়ান মোতায়েন করবে যাতে হিজবুল্লা আর বেশি সক্রিয় না হতে পারে।
আন্তর্জাতিক এক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, শান্তিচুক্তি ঘোষণা হওয়ার পরও বেইরুট থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছিল। তবে সেটি কোনও হামলার ঘটনা নয় বলেই অনুমান করা হচ্ছে। শান্তিচুক্তি হওয়ায় তার জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেই গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এও জানা গেছে, ইজরায়েলি হামলার কারণ যে সমস্ত নাগরিকরা ঘর ছেড়েছিলেন তারা ধীরে ধীরে ফিরে আসছেন।
হোয়াইট হাউসে জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সুরক্ষামন্ত্রক শান্তিচুক্তিতে ১০-১ ভোটে সম্মতি প্রকাশ করেছে। তিনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সকলেই চান, এই চুক্তি স্থায়ী হোক। আশাও করছেন, লেবানন এবং ইজরায়েল দুই দেশই নিজেদের সিদ্ধান্তে অটুট থাকবে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এই চুক্তি মেনেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, শান্তিচুক্তি অপরপক্ষ যে মুহূর্তে ভাঙবে, তাঁরাও সেই মুহূর্ত থেকে হামলা শুরু করবেন। তবে ইজরায়েল নিজে থেকে এই চুক্তি ভাঙবে না।
রিপোর্ট বলছে, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত দুই দেশের সংঘাতে ৩ হাজার ৭৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের ৮২ জন জওয়ান এবং ৪৭ জন সাধারণ নাগরিকও এর মধ্যে রয়েছে। এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক শীর্ষ আধিকারিক জসেফ বোরেল লেবানন সফর করেছিলেন। ইজরায়েলের সঙ্গে যাতে শান্তিচুক্ত করানো যায়, সেটাই ছিল লক্ষ্য। তবে তখন তিনি ব্যর্থ হন। এরপরই কার্যত আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, ধ্বংস হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছে লেবানন! এরপরই এল শান্তিচুক্তির খবর।