শেষ আপডেট: 23rd October 2024 11:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে হত্যা করেছে ইজরায়েল। তারপর সংগঠনের নতুন প্রধান হাশেম সাফেদ্দিনকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছিল তাঁরা। সেই হামলায় হাশেমের মৃত্যু হয়েছিল কিনা তা তখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বেইরুটে সেই হামলার তিন সপ্তাহ পর আইডিএফ দাবি করল, হাশেমও মৃত।
ইজরায়েল সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লার এক্সকিউটিভ কাউন্সিলের প্রধান হাশেম সাফেদ্দিন, ইন্টালিজেন্স ডিরেক্টরেটের প্রধান আলি হুসেন হাজিমাকে খতম করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে হিজবুল্লার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও দেওয়া হয়নি। চলতি মাসের ৮ তারিখ হাশেমকে মারা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এখন আইডিএফ সেটাই নিশ্চিত করেছে।
নাসারাল্লার নেতা থাকাকালীনই হিজবুল্লা সংগঠনে সামিল হয়েছিলেন সাফেদ্দিন। ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছিল। বেশিরভাগ সময়ই আমেরিকার বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন তিনি। শুধু তাই নয়, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধেও প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে হুমকি দিয়েছিলেন হাশেম।
হিজবুল্লাকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে প্রথমে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক করার পর লেবাননে ঢুকে গিয়ে হামলা শুরু করে ইজরায়েল। এরই মধ্যে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইরান এবং ইয়েমেন! লেবাননের মাটিতে দাঁড়িয়ে আইডিএফ-এর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাও। এই পরিস্থিতির মধ্যে নাসরাল্লার উত্তরসূরিকে খতম করা ইজরায়েলের কাছে বিরাট ব্যাপার।
আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, হিজবুল্লার গোয়েন্দা ঘাঁটির আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে তখন বৈঠক করছিলেন হাশেম। ওই বাঙ্কারেই হামলা চালানো হয়। অনুমান করা হচ্ছে, এই হামলায় হাশেম, হাজিমা ছাড়াও হিজবুল্লার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার মৃত্যু হয়েছে।